দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ একটি দেশের ব্যবহারেই তার দায়িত্বের পরিচয় পাওয়া যায়। করোনা মোকাবিলায় সার্ক গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির উদ্যোগে পাকিস্তানের অসহযোগিতার জবাবে এমনই মন্তব্য করল দিল্লি। বুধবার সার্কের বৈঠক বয়কট করলেও বৃহস্পতিবার করোনা মোকাবিলায় সার্ক তালিকাভূক্ত দেশগুলির যে তহবিল তৈরি হয়েছে তাতে ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়ার কথা দিয়েছে ইসলামাবাদ। সেই সঙ্গে কিছু শর্তও চাপিয়েছে। বুঝিয়ে দিয়েছে এক্ষেত্রে ভারতের নেতৃত্ব ইসলামাবাদ মেনে নেবে না। এর পরেই দিল্লির মন্তব্য, কোনও সদস্য দেশ কতটা সিরিয়াস তা সেই দেশের ব্যবহারেই বোঝা যায়।
করোনাভাইরাসের বিপদ তৈরি হতেই সার্ক গোষ্ঠী ভুক্ত দেশগুলিকে যৌথ লড়াইয়ের বার্তা দেওয়া হয় ভারতের পক্ষে। সার্ক-ভুক্ত দেশগুলি হল ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও মলদ্বীপ। এই আটটি দেশকে নিয়ে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি ফান্ড গঠনের প্রস্তাব দেন। এই প্রস্তাব নিয়ে পাকিস্তানের মনোভাব প্রথম থেকেই ছিল নেতিবাচক। করোনা মোকাবিলায় সার্কের প্রথম বৈঠকে হাজিরই ছিলেন না ইমরান খান। তবে তাঁর প্রতিনিধি ছিলেন। কিন্তু বুধবারের বৈঠকে অংশই নেয়নি পাকিস্তান।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তান আর্থিক সাহায্য দেবে বলে স্থির করে। ইসলামাবাদ জানায়, তারা করোনা মোকাবিলা ফান্ডে ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিতে প্রস্তুত হলেও এই তহবিলের তত্ত্বাবধান করতে হবে সার্ক সেক্রেটেরিয়টকে। কীভাবে সেই ফান্ড থেকে অর্থ সাহায্য যাবে, তা সার্ক সেক্রেটেরিয়টকে সিদ্ধান্ত নিক বলেও মন্তব্য করে ইমরানের দেশ।
এর জবাবেই ভারতের পক্ষে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব এদিন বলেন, এই বিষয়ে প্রথমেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেই মতো কাজ হবে। আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, মলদ্বীপ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কাকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত পরিষেবা প্রদান করা হবে। এই তহবিল গঠনের সময়ই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সার্ক গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি। এই বিষয়ে প্রত্যেকটি দেশের ব্যবহারই তাদের দায়িত্ববোধের পরিচয় দেয়।