একুশ-এর খেলায় গোলরক্ষক আমিই : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

0
456

দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে সিবিআই নোটিশ দেওয়ার ইস্যুতে কড়া প্রতিক্রিয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রসঙ্গ উল্লেখ না করেই তাঁর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। ভাষা দিবসের একটি অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘ধমকানি চমকানি জেল দেখিয়ে আমাদের ভয় দেখাবেন না। ওসব আমরা পেরিয়ে এসেছি। ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। আমার দেহে যতক্ষণ প্রাণ থাকবে ততক্ষণ কোনও ধমকানির কাছে আমি নত হব না।’ পরে তিনি বলেছেন, ‘২১-এ একটাই খেলা হবে, আমি হব গোলরক্ষক। হারতে আমরা শিখিনি, আমাদের হারানো যাবে না।’


দেশপ্রিয় পার্কের অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা বাংলায় এসে সুড়সুড়ি দেয়, ব্যঙ্গ করে তারা ‘বাংলা’র নামটা করল না। চার বছর ধরে ফেলে রেখেছে। চিরকাল দেখছি, বাংলার প্রতি বঞ্চনা করা হচ্ছে, কেউ বাংলায় বড় হয়ে গেলে দেখছি, টেনে নামানোর একটা চক্রান্ত হচ্ছে।’

অভিযোগের সুরে তিনি বলেন, ‘আমি তো শুনছি, দিল্লির অনেক নেতা কখনও কখনও বলছে, বাংলার মেরুদন্ড কী করে ভেঙে দিতে হয় আমরা জানি। চেষ্টা করে দেখুন, আগেও তো করেছেন। আমরা তো বন্দুকের সঙ্গে লড়াই করে এসছি। ভয় পাবো কেন? আমাদের মেরুদন্ড ভেঙে দেওয়া অত সহজ নয়।’ তাঁর সংযোজন, ‘এই মাটিই আমায় শিখিয়েছে, কাউকে দেখে ভয় না পেতে। বাঘের মতো লড়াই করতে।’

বক্তব্যের একদম শেষে এরপর নিজের একটি লেখা পাঠ করেন তিনি। সেখান থেকেই ২১ সালের ভোটের প্রসঙ্গে আসেন তিনি। মমতা বলেন, ‘২১ শে চ্যালেঞ্জ হবে। ২১ শেই আমরা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করি এবং ২১ শেই চ্যালেঞ্জ হোক। দেখি, কার জোর কতটা। ২১ শে একটা খেলা হবে, কারা হারে, কারা যেতে দেখব। আর তাতে যদি আমায় জেলেও পাঠিয়ে দেয়, তবে জেল থেকেই ডাক দেব, জয়বাংলা। আমরা কারো পরোয়া করি না।’ তাঁর আবেদন, ‘এরপর থেকে হ্যালো বলবেন না, ফোন আসলে ধরে বলবেন, জয়বাংলা।’

সন্ধ্যার অনুষ্ঠানে নিজের লেখা কবিতা ‘একুশে’ আবৃত্তি করে শোনান মুখ্যমন্ত্রী।

Previous articleজেলায় জেলায় রুটমার্চ শুরু করল কেন্দ্রীয় বাহিনী
Next articleআজ ফের বঙ্গ সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here