দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ৭৩ বছর বয়সেই থামল তবলার যাদুকরের পথচলা। প্রয়াত উস্তাদ জাকির হুসেন। রবিবার আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকোর এক হাসপাতালে শিল্পীকে ভর্তি করানো হয়েছিল। হার্টের সমস্যা নিয়ে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। তবে শেষরক্ষা হল না।
রবিবার বিকেলে শিল্পীর পরিবারের তরফে সংবাদমাধ্যমকে শারীরিক অসুস্থতার কথা প্রথম জানানো হয়। বলা হয়, তবলাবাদক, সঙ্গীতজ্ঞ উস্তাদ জাকির হুসেন অসুস্থ। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকোর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।’
এদিকে তবলার জাদুকরের অসুস্থতার খবর পেয়ে ভক্তরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে থাকেন অনুরাগীরা। কলকাতায় এই সময় অনুষ্ঠান করতে আসার কথা থাকলেও শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে সেই অনুষ্ঠান বাতিল হয়।
জাকির হোসেনকে চেনেন না এমন মানুষের সংখ্যা পৃথিবীতে কম। বিশ্ব ধ্রুপদী সঙ্গীতবাদ্যের জগতে তিনি এক নক্ষত্রের নাম। পদ্মশ্রী থেকে শুরু করে পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ, গ্র্যামি- সব পুরস্কারই রয়েছে উস্তাদের ঝুলিতে। শিল্পীর আচমকা এমন পরিণতিতে শোকের ছায়া সব মহলেই।
১৯৫১ সালে মুম্বইয়ে জন্ম হয় জাকির হুসেনের। মাত্র তিন বছর বয়স থেকে তাঁর তবলার সফর শুরু। সাত বছর বয়সে একা মঞ্চে অনুষ্ঠান করেছেন তিনি। শিল্পীর সম্মানে গর্বিত হিন্দুস্তানি ধ্রুপদী সঙ্গীত জগৎও। তবে রবিবার রাতে সব শেষ।
চলতি বছর গ্র্যামি পুরস্কার পেয়েছিলেন জাকির হুসেন। বেস্ট গ্লোবাল মিউজিক অ্যালবাম হিসেবে ‘শক্তি’ ব্যান্ডের গানের অ্যালবাম ‘দিস মোমেন্ট’ পুরস্কার পায়। ব্যান্ডের কণ্ঠশিল্পী শঙ্কর মহাদেবন এবং তবলাবাদক ছিলেন তিনি। জুটির হাত ধরেই ২০২৪ সালে ভারতে গ্র্যামি আসে।
যে কোনও শিল্পেই পরিবেশন খুব গুরুত্বপূর্ণ। জ়াকির ছিলেন সেই শিল্পের সর্বোত্তম শিল্পী। একটা আবর্তন পূর্ণ করে কোনও কায়দা বা টুকরা সমে পড়লে যে ভাবে তিনি তা প্রকাশ করতেন, তা ছিল যেমন নান্দনিক, তেমনই সম্মোহনী।