অর্পিতা বনিক,দেশের সময় : বাঙালির শীতের পোশাক ঠিক কেমন? কেউ বলবেন শাল-চাদর, কেউ বলবেন হনুমান টুপি। কেউ আবার বলবেন ও রকম ছকে বাঁধা কোনও পোশাক হয় না। পোশাক নিয়ে বিতর্ক থাকলেও এ বিষয়ে অনেকেই একমত হবেন যে, শীতের পোশাকের কাজ এখন আর শুধু শরীর গরম রাখা নয়। এখন উষ্ণতার সঙ্গে ফ্যাশন ও আরাম সমান ভাবে থাকা চাই-ই চাই। তাহলে এ বার শীতে আলমারিতে রাখবেন কোন কোন পোশাক? কি ধরনের পোশাক এই মুহুর্তে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে তারই খোঁজ পেতে দেখুন ভিডিও
সাধারণত যাঁরা পেশাদার ভাবে ছবি তোলেন, তাঁদের ক্যামেরার বিভিন্ন যন্ত্রাংশ রাখার জন্য এক বিশেষ ধরনের জ্যাকেট পাওয়া যায়। এই জ্যাকেটের সামনের দিকে অনেকগুলি পকেট থাকে। একেই ফোটোগ্রাফার্স জ্যাকেট বলে। তবে এখন শুধু সাংবাদিকরা নন, সাধারণ মানুষও এই জ্যাকেট পরেন। এ বার শীতে কিনে নিতে পারেন এই হাতাকাটা জ্যাকেট। অন্যদের থেকেও আলাদাও হবে, শীতও আটকাবে।
শহরের দিকে এখন শীতের কামড় টের পাওয়া বেশ শক্ত। অনেকেই তাই এখন ভারী জ্যাকেট এড়িয়ে চলেন। যদি ক্যাজুয়াল সাজ বেশি পছন্দ হয় তবে সুতি, উল, নিট কাপড়ের তৈরি ফুলস্লিভ টি-শার্ট, ভারী হাইশোল্ডার জিপার টি-শার্টের সঙ্গে নানা রঙের টি-শার্ট পরতে পারেন। এ ধরনের পোশাক স্বচ্ছন্দে পরে থাকা যায় সারা দিন। হাইশোল্ডার ভারী ফুলস্লিভ টি-শার্টে বড় আকারের বোতাম, হাতা বা নীচের দিকটায় নানা ধরনের কাটের চল এসেছে। কোনওটির সামনের দিকে চেনও থাকতে পারে। চাইলে ভিতরে রঙিন টি-শার্ট পরে বেরোতে পারেন। বাইরে সামনের চেন বা বোতাম খুলে টি-শার্ট পরতে পারেন।
এখন আর কেবল তরুণরাই নন, সব বয়সের মানুষই হুডি পরছেন। ছেলেদের ফুলস্লিভ হুডি টি-শার্ট, হুডি শার্ট, হুডি জ্যাকেট, হুডি সোয়েটার, স্লিভলেস হুডি, ব্যাটম্যান হুডি, ব্রকলাইন হুডি সোয়েটারের পাশাপাশি গেঞ্জির কাপড়ের সামনে পকেটওয়ালা হুডিও পেতে পারেন। এখন হুডি টি-শার্টে নকশার বৈচিত্র বেশি দেখা যাচ্ছে। হুডিতে ফ্লোরাল প্রিন্ট, বিভিন্ন ধরনের পশুপাখির ছবি, কিংবা বিভিন্ন ডুডলও দেখা যাচ্ছে অনেক সময়ে।
ডিসেম্বর আর জানুয়ারি মাস মানেই পাড়ায় পাড়ায় বিয়ের অনুষ্ঠান। আর বিয়ের অনুষ্ঠানে এখন অনেকের কাছেই সাবেকি সাজ অগ্রাধিকার পায়। নেহরু জ্যাকেট, মোদি কুর্তা অথবা কোট দিয়ে ইন্দো-ওয়েস্টার্ন সাজে সাজিয়ে তুলতে পারেন নিজেকে।