দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রেশন মামলায় ফের তৎপর ইডি। বুধবার সকাল থেকে তল্লাশি অভিযানে নেমে পড়েছেন ইডি আধিকারিকেরা। হাওড়ার অন্তত তিন জায়গায় হানা দিয়েছেন তাঁরা। নজরে ব্যবসায়ীদের বাড়ি এবং গুদামও।
তার মধ্যে ২ জন পরিবহণ সংস্থার মালিক রয়েছেন বলে খবর। অন্য একজন আবার সরকার স্বীকৃত এক সমিতির পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই সমবায় সমিতিতে কৃষকদের থেকে সরাসরি ধান কেনা হয় বলে বলে খবর। কিন্তু, সেখানেই বড়সড় গোলযোগ বলে মনে করছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকেরা। তিনটি জায়গাই হওড়ায়।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ইডি জানতে পেরেছে যে কাগজে কলমে সমবায় সমিতি তৈরি করে ভুয়ো চাষীদের থেকে ধান কেনার নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। সেই সূত্রেই তল্লাশি। সাতসকালে অভিযান শুরু হতেই শোরগোল শুরু হয়েছে এলাকায়।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জামিনে মুক্ত হলেও বিগত কয়েক মাসে রেশন দুর্নীতির তদন্তে নতুন করে গতি এনেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গত বছরের শেষেই তিন নতুন চাল কল মালিককে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই তালিকাতেই ছিলেন মিল মালিক হিতেশ ছন্দক। সূত্রের খবর, তাঁকে জেরা করেই তিন পরিবহণ সংস্থার মালিক ও সমিতি পরিচালকের নাম উঠে আসে। তারপরেই অ্যাকশনে নামে ইডি।
বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একাধিক দল বেরিয়েছে ইডি দফতর থেকে। সকাল সকালই তাদের একটি দল পৌঁছে যায় হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের দক্ষিণ সন্তোষপুরে কৃষ্ণপদ মাল নামে এক ধান ব্যবসায়ীর বাড়িতে। অন্য একটি দল হানা দিয়েছে তাঁর গুদামেও। এ ছাড়াও, হাওড়ার একটি সমবায় সমিতিতেও চলছে ইডির অভিযান।
অন্য দিকে, হাওড়ার শ্যামপুরের সসাটিতে ব্যবসায়ী পার্থেন্দু জানার বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান চলছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, কৃষকদের থেকে ধান কিনে বিভিন্ন রাইস মিলে বিক্রি করতেন পার্থেন্দু। ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত তিনি। ওই ব্যবসায়ী অবশ্য বাড়িতে নেই। পরিবার জানায়, মহাকুম্ভে গিয়েছেন পার্থেন্দু।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর ইডি রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে রেশন মামলায় গ্রেফতার করে। তিনি প্রায় ১৪ মাস জেল হেফাজতে ছিলেন। ২০২৫ সালের ১৫ জানুয়ারি বিশেষ ইডি আদালত ৫০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ড এবং ২৫ হাজার টাকার দু’টি জামিন বন্ডে শর্তসাপেক্ষে তাঁর জামিন মঞ্জুর করে। তার কয়েক দিন যেতে না যেতেই আবার রেশন মামলায় তৎপর হল ইডি।