দেশের সময়, বনগাঁ: পঞ্চায়েত নির্বাচনে অনেক ক্ষেত্রে নিজেদের সুবিধা মতো এক অপরের সহযোগিতা করতে দেখা যায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলিকে। আবার বিরোধীতাও চলে জোরকদমে।
কিন্তু এবার বনগাঁয় যে ছবি দেখখা গেল, তা হয়তো বাংলার মানুষ আগে কখনও দেখেনি। একই ব্যানার ব্যবহার করে প্রতীক নিয়ে প্রচার চলছে বিজেপি ও কংগ্রেসের দুই প্রার্থীর ! এই ঘটনা ঘিরে ব্যপক শোরগোল পড়েছে বনগাঁর সুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগান গ্রামে।
এলাকার রাস্তাঘাট, বাজার এলাকায় এই ব্যানার ছেয়ে গেছে। অথচ দুই দলের কর্মীরা জানেই না, এই ব্যানার কে লাগাল। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তাই জোর চর্চা শুরু হয়েছে বনগাঁয়।
বাগান গ্রামে ২৫০ নম্বর বুথে বিজেপির হয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন শিল্পী বালা। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে দাঁড়িয়েছেন কংগ্রেসের পবিত্র সরকার। দু’জনের ছবি ব্যবহার করে ‘জোট’ প্রার্থী হিসাবে প্রচার করা হচ্ছে ওই ব্যানারে। এই ঘটনা নিয়ে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছেন তাঁরাও।
কংগ্রেস প্রার্থী পবিত্র সরকারের কথায়, কে এই ব্যানার টাঙিয়েছে তিনি জানেন না। দলকে ছোটো করার জন্য এমন ব্যানার টাঙানো হয়েছে। একই কথা বলেছেন বিজেপি প্রার্থী শিল্পী বালা। শিল্পী দেবীর দাবি, তিনি বিজেপির প্রার্থী। এর বাইরে তিনি কিছু জানেন না।
এই দুজনের সঙ্গে ভোটে তৃণমূলের তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সবিতারানি বিশ্বাস। তিনি বলেন, জাতীয় রাজনীতিতে রাহুল গান্ধী, মোদী দুজনেই দুজনের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছেন ঠিকই। কিন্তু এই বুথ স্তরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে জেতার জন্য হাতের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে গেরুয়ারা। এতে অবশ্য কোনও বিশেষ লাভ হবে না।
বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া ও বলেন, ‘জোট বলে কিছু হয় না। বুথ স্তরে কিছু হলে সেটা আমাদের জানা নেই। তবে এই ব্যানার কে বা কারা লাগিয়েছে সে বিষয়ে দলের কর্মীরা কিছুই জানেন না। তৃণমূল কুৎসা রটাতেই এই সমস্ত চক্রান্ত করছে।‘
যদিও এই ঘটনা নিয়ে বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস তথা বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতির পাল্টা দাবি, ‘মুখ্যমন্ত্রী তো অনেক দিন ধরে বলে আসছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সব বিরোধীরা মহাঘোঁট পাকাচ্ছে। কিন্তু এতে কোনও লাভ হবে না। তৃণমূলের উন্নয়নের পাশে আছে মানুষ। পঞ্চায়েতে মানুষই এর বিচার করবে।’
তবে নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।