দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে জয় হল কংগ্রেসের৷ গত ১৩ মার্চ কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুন হওয়ায় এই আসনটিতে উপনির্বাচন করতে হয়েছিল ৷
এদিন ভোট গণনা শেষে দেখা যায় মিঠুন কান্দু জিতেছেন ৭৭৮ ভোটে। তৃণমূল প্রার্থী জগন্নাথ রজককে হারিয়েছেন তিনি।
জয়ের পর মিঠুন বলেন, ‘এই জয় আমার কাকুরই৷ কাকুর যে যে স্বপ্ন ছিল, সেগুলিই আমি পূরণ করতে চাই৷ ২ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষই আমাকে প্রার্থী করেছিলেন৷ ফলে জয় নিয়ে কোনও সংশয় ছিল না৷’ নিহত তপন কান্দুর স্ত্রী বলেন, ‘যাঁরা আমার স্বামীকে খুন করেছিলেন তাঁরা বুঝে গেেলন যা তাঁকে খুন করেও কংগ্রেসকে হারানো যাবে না৷’ গত বছর পুর নির্বাচনে ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ১২৮ ভোটে তৃণমূল প্রার্থীকে হারিয়েছিলেন তপন কান্দু৷ ফলে কংগ্রেসের জয়ের ব্যবধান বেড়েছে৷
অন্যদিকে, গত ১৩ মার্চই খুন হয়েছিলেন পানিহাটির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর অনুপম দত্ত৷ ওই আসনেও উপনির্বাচন হয়৷ ২২৭৪ ভোটে ওই ওয়ার্ড থেকেই জয়ী হয়েছেন নিহত অনুপম দত্তের স্ত্রী মীনাক্ষী দত্ত৷ ২২৭৪ ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি৷ মীনাক্ষী দত্ত বলেন, ‘এটা অনুপমের প্রতি মানুষের ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ৷’
চন্দননগর পুরনিগমে তৃণমূলের হাতে থাকা ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে সিপিএম৷ ভোটের আগেই বিজেপি প্রার্থীর মৃত্যুতে ওই ওয়ার্ডে ভোট বাতিল হয়ে যায়৷ এ দিন উপনির্বাচনের ফল বেরোতে দেখা যায়, ১৩০ ভোটে জয়ী হয়েছেন সিপিএম প্রার্থী অশোক গঙ্গোপাধ্যায়৷
চন্দননগরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের গণনা শেষে দেখা গেল বাম প্রার্থীর মুখে চওড়া হাসি। ওই ওয়ার্ডে ১৩০ ভোটে জিতেছেন অশোক। তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন সুদীপ কুমার নাথ। চন্দননগরের এই ওয়ার্ডে ১৯৯০ সালের পর থেকে সিপিএম কখনও জেতেনি। ৩২ বছর পর এল জয়।
এই ওয়ার্ডটি ছিল তৃণমূলের দখলে৷ ফলে শাসক দলের থেকে ওয়ার্ডটি ছিনিয়ে নিয়ে ঊছ্বসিত সিপিএম কর্মী- সমর্থকরা৷ এই জয়ের ফলে চন্দননগর পুরনিগমের দু’টি ওয়ার্ড সিপিএমের দখলে এলো৷
ভাটপাড়া পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডেও জয়ী হয়েছে তৃণমূল৷ এই আসনটিতে ৯৫৫ ভোটে জয়ী হয়েছেন শাসক দলের প্রার্থী কনকলতা দাস৷ দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডেও জয়ী হয়েছে তৃণমূল৷ এ ছাড়াও দমদম পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচন হয়৷ এই ওয়ার্ডের ভোট গণনা এখনও চলছে৷