পার্থ সারথি নন্দী :

ঘটনা বহুল আরও একটি বছর শেষ। নতুনকে উদ্‌যাপন চলছে দিকে দিকে। নতুন বছরের কাছে অনেক আশা-আকাঙ্খা রয়েছে। রয়েছে অনেক প্রত্যাশা। ২০২৪ সাল সবার ভালো হোক। সর্বশক্তিমানের কাছে থাকবে এই প্রার্থনা। সবার হাতে কাজ আসুক। সবার পেটে ভাত জুটুক।

বেকারত্বের জ্বালায় যেন কাউকে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াতে না হয়। মেধার বিকাশ ঘটুক। বছরের শুরুতেই অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধন। এই ইভেন্টকে রাজনীতির গণ্ডিতে বেঁধে সাম্প্রদায়িকতার তাস খেলার চেষ্টা বন্ধ হোক, এটুকুই চাওয়া। গীতা পাঠ কিংবা হনুমান জয়ন্তী বাংলার বুকে আজ প্রথম হচ্ছে, এমনটা মোটেই নয়।

কিন্তু আজ যেটা হচ্ছে, এগুলিকে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে পরিণত করার চেষ্টা চলছে। ধর্ম নিয়ে এই রাজনীতি চাই না আমরা। আমরা এমন নেতা চাই, যিনি দেশের কথা ভাববেন। দশের কথা ভাববেন। দেশবাসীর মঙ্গলের কথা ভাববেন। যে দেশ চাঁদের বুকে পা রাখছে, সেই দেশের নেতাদের কাছে অনেক প্রত্যাশা দেশবাসীর।

ফলে তাঁদের আরও দায়িত্ববান হওয়া দরকার। নতুন বছরে এই অঙ্গীকারটুকু শুধু তাঁদের কাছ থেকে আশা করব, শুধুমাত্র ভোটের নামে তাঁরা যেন দেশবাসীকে না ঠকান। দেশকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাসে তলে তলে দেশকে বিক্রি করে দেওয়ার চক্রান্তে যেন শামিল না হন, আমাদের দেশনেতারা।

লোকসভা ভোট আসন্ন। কোন দল ক্ষমতায় আসবে, কে শাসকের কুর্সিতে বসবেন, রাষ্ট্রের ভূমিকা কী হবে, এসবই দেখার। নতুন বছরে সবচেয়ে বড় যে চাওয়াটুকু, আমার দেশের মানুষকে যেন জাতপাত, ধর্মের ভিত্তিতে কোণঠাসা করে দেওয়ার চক্রান্ত বন্ধ হয়। ধর্মীয় হানাহানি অনেক হয়েছে।

নতুন বছরটা হোক একেবারে অন্যরকম। যে বছর নিয়ে আসুক এক নতুন ভোর। মুক্ত সেই ভোরে গলা ছেড়ে গান গাইবে দেশের প্রতিটি মানুষ। গাইবে, এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে না কো তুমি। এ আমার ভারতবর্ষ। আমাদের সবার ভারতবর্ষ। আমরা হাতে হাত ধরে থাকি। মন্দির-মসজিদ-গির্জা করে রক্ত ঝরায় না। আমরা এক থালায় ভাগ করে খাই ভাত।  

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here