দেশের সময়, কলকাতা : মঙ্গল থেকে শুক্র বৃষ্টির পূর্বাভাস !
শীত জাঁকিয়ে পড়লেও মাঝে মাঝেই তাল কাটছে বৃষ্টি। চলতি সপ্তাহে টানা ৪ দিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রের খবর, মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার, দুই বঙ্গেই বৃষ্টি সম্ভাবনা। এতে ক্ষতির আশঙ্কা ফুল, ফল, সবজির।
ভরা শীতে বৃষ্টির কারণ কী? হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, বিপরীত ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে ঝাড়খন্ড ও সংলগ্ন এলাকায় উত্তুরে হাওয়া বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় এবং বঙ্গোপোসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প প্রবেশ করায় রাজ্যে বিভিন্ন জেলায় আজ থেকেই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবেই বৃষ্টি চলবে।
মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান, নদীয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। ৩১ তারিখ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম এবং উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও কালিম্পং-এ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে ওই দিন হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। শুক্রবার দুই ২৪ পরগনা ও মালদায় হালকা থেকে মাঝারি এবং কলকাতা, হাওড়া, হুগলী, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদ জেলায় হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই ফেব্রুয়ারির প্রথম দু” দিন হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। শুক্রবারের পর কনকনে শীতের আমেজ আবারও ফিরবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত জানায়নি হাওয়া অফিস।
কবে কোথায় বৃষ্টি
★মঙ্গলবার বৃষ্টির সম্ভাবনা পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায়
★বুধবার বৃষ্টির সম্ভাবনা বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতায়। বাকি জেলাতেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা।
★বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের উপকূল ও উপকূল সংলগ্ন প্রায় সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃষ্টি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা বৃহস্পতিবার।
★শুক্রবার দু-এক জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টি দু’ এক পশলা। বৃষ্টি হতে পারে নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায়।
★শনিবার আবহাওয়ার পরিবর্তন। তবে তাপমাত্রা খুব একটা কমবে না বৃষ্টির প্রভাবে।
মঙ্গলবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৩২ থেকে ৯২ শতাংশ। উত্তর-পশ্চিমের হাওয়া বদলে পূবালি হাওয়ার প্রভাব বাড়ছে দক্ষিণবঙ্গে। তাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এছাড়া পরপর তিনটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা রয়েছে। একটির রেশ কাটতে না কাটতেই আরেকটি এসে হাজির। ৩ ফেব্রুয়ারি আরও একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে।