

উত্তরে ঝড়বৃষ্টি চলছে। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গে কবে ঢুকবে? আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, সপ্তাহের প্রথম দিন সোমবার রাজ্যের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে। আকাশ মেঘলা থাকবে। কিছু এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা কবে ঢুকবে তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা। আবহাওয়া দপ্তর বলছে, এ দিন আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি চরমে থাকবে। হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, দুই মেদিনীপুর-সহ কিছু এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, তবে তা সামান্য। আগামী ৫ দিন পরিস্থিতি খুব একটা বদলাবে না।

জুনের প্রথম সপ্তাহে নামমাত্র বৃষ্টি হতে পারে। ফলে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি আরও বাড়বে। জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে কিছু জেলায় মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তৃতীয় সপ্তাহে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়তে পারে। শেষ সপ্তাহে সন্তোষজনক বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।

সোমবার কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। খুব উল্লেখ্যযোগ্য বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। ঘাম হবে। ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস দশা হতে পারে শহরবাসীর। জুন মাসে মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আড়াইশো মিলিমিটার অতিক্রম করার সম্ভাবনা কম।
দশদিন আগেই বর্ষা ঢুকেছে উত্তরবঙ্গে। এ দিন মালদা ও দুই দিনাজপুরে বিক্ষিপ্ত ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। পাশাপাশি ৫ জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসও দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। সপ্তাহভর এমনটা চলতে পারে।
অসম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরাতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, কর্নাটক, হিমাচল প্রদেশ, কেরল, গোয়া, উত্তরাখণ্ড, তামিলনাড়ু, পন্ডিচেরীতেও ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চন্ডীগড়, দিল্লি, রাজস্থান, তেলঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৪০/৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় বইতে পারে।