দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সপ্তাহ শেষে আরও খানিকটা কমল শীত।আবারও তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সঙ্গে কিছু জেলায় কয়েক পশলা বৃষ্টিপাতেরও ইঙ্গিত দিল।
ঘন কুয়াশায় ঢাকবে মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান ও নদিয়া। ২৪ ঘণ্টা পর তাও কেটে যাবে বলেই আশ্বাস। শুক্রবার অর্থাৎ আজ থেকে ধীরে ধীরে বাড়বে রাতের তাপমাত্রা, ফলে কমবে ঠান্ডার কামড়৷
বিগত কিছু দিনের মতো শুক্রবারেও বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই বলেও আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাস দিয়েছে। তবে সোমবার থেকে শুরু হতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টিপাত। কলকাতা-সহ মোট সাত জেলায় রয়েছে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস। সোমবার থেকে কলকাতার আংশিক মেঘলা থাকবে। আগামী কয়েক দিন ভোরের দিকে জেলাগুলিতেও চলবে কুয়াশার দাপট। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমে যাবে বলেই হাওয়া অফিস সূত্রে খবর।
শুক্রবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক। একই সঙ্গে কলকাতা এবং সংলগ্ন জায়গাগুলিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা-ও স্বাভাবিক। সকালের দিকে কুয়াশা দেখা দিলেও আকাশ সারাদিন পরিষ্কারই থাকবে।
কলকাতার আশেপাশের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা কলকাতার থেকে আরও ২-৩ ডিগ্রি কম থাকবে। একই সঙ্গে আলিপুর এবং ডুয়ার্স এলাকায় আগের মতোই বজায় থাকবে শীতের দাপট। দার্জিলিংয়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামতে পারে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়া পর্যন্ত। দুই মেদিনীপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রির আশপাশে থাকতে পারে বলেই দফতর সূত্রে জানা গেছে।
তবে আর বেশি দিন শীতকাতুরে বাঙালি শীতের আমেজ উপভোগ করতে পারবে না বলেই জানিয়েছেন আবহবিদরা। আগামী কিছু দিনের মধ্যেই তাপমাত্রায় হেরফের হবে। গত দু’দিন থেকেই প্রায় ১ ডিগ্রি করে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। আগামী ৪-৫ দিনে ২ ডিগ্রি থেকে ৪ ডিগ্রি অবধি বেড়ে যেতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে শীত আসে উত্তুরে হাওয়ার আগমনে। কিন্তু পশ্চিমী ঝঞ্জা এই উত্তুরে হাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করছে। এই মুহূর্তে একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আফগানিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তানের উপর রয়েছে। এবং ক্রমশই তা পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। এই কারণেই শীত কমবে বাংলায়। এ ছাড়া আবহাওয়ায় বড়সড় রদবদল হবেনা বলেও মত আবহবিদদের।
মূলত পশ্চিমীঝঞ্ঝার জেরে ঠান্ডাবাতাস ঢুকতে বাধা পাচ্ছে। আর তার জেরেই বাড়বে তাপমাত্রা।
১০ তারিখ উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং ও কালিম্পঙে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। দক্ষিণবঙ্গে ঝাড়খণ্ড লাগোয়া এলাকাগুলিতে খুবই হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।