Monsoon in Bengal: দক্ষিণবঙ্গে পা রাখতে আর কত সময় নেমে বর্ষা?
কবে বর্ষা আসবে দক্ষিণবঙ্গে? প্রশ্নটা ঘুরছেই। ৩১ মে উত্তরবঙ্গে পা রেখেছিল বর্ষা। যা আবার নির্ধারিত সময়ের ৭ থেকে ৮ দিন আগে। অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গে ১১ জুন বর্ষা আসার কথা থাকলেও এখনও মেলেনি দেখা। তবে হাওয়া অফিস বলছে আর অপেক্ষা করতে হবে না বেশি দিন। ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় প্রাক বর্ষার বৃষ্টিও শুরু হয়ে গিয়েছে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলছে। আর দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে ঢুকবে মৌসুমী বায়ু। এমনটাই খবর আবহাওয়া দফতর সূত্রে। তবে এখনও বৃষ্টির দাপট থেকে মুক্তি নেই উত্তরবঙ্গের। আগামী কয়েকদিনেও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির দাপট চলবে।
তাপমাত্রার পারদ কমেছে। কিন্তু, বৃষ্টি নিয়ে আক্ষেপ যেন থামছেই না কলকাতাবাসীর। কবে নামবে স্বস্তির বৃষ্টি? কবে দক্ষিণবঙ্গ সহ কলকাতায় বর্ষার প্রবেশ? এই প্রশ্নের জবাবে কিছুটা হলেও আশার কথা শোনাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে উত্তরবঙ্গের বাকি অংশ ও দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করবে মৌসুমী বায়ু, এমনটাই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।
এর মধ্যে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বীরভূম, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। এছাড়াও পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবার সম্ভাবনা। তবে আপেক্ষিক আর্দ্রতার জন্য অস্বস্তি বাড়তে পারে।
দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাত হলেও পুরোপুরি অস্বস্তি কাটেনি। এদিন কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়াতে রয়েছে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। তবে কোথাও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই।
শহরের তাপমাত্রা একধাক্কায় কমেছে। বুধবার শহর কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি হয়। বৃহস্পতিবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৮৭ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৭২ শতাংশ।
এদিন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল থেকেই শহরের আকাশ আংশিক মেঘলা। বিক্ষিপ্তভাবে এদিন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত চলার সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে রয়েছে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। এছাড়াও দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে রয়েছে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস। উত্তর দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদাতে বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। সঙ্গে বজ্রবিদ্যুতের সতর্কতা।
এই বছর নির্ধারিত সময়ের আগে উত্তরবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করেছিল। কিন্তু, এরপর থেকে আর মৌসুমী বায়ু অগ্রসর হয়নি। আবহাওয়া দফতরের কথায়, আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবারও সকালে কলকাতায় মেঘলা আকাশের দেখা মিলেছে। আগামী দু-তিন দিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বজ্রবিদ্যুৎ বৃষ্টির সঙ্গে হালকা দমকা বাতাসও বইতে পারে। ধীরে ধীরে বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ। ইতিমধ্যেই বার্নপুর ও আসানসোলে গত ২৪ ঘণ্টায় বেশ ভাল বৃষ্টিপাত হয়েছে।