দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ চলতি মরশুমে প্রকৃতি ঢেলে দিয়েছে প্রকৃতিপ্রেমীদের। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের পাহাড় এলাকায় লাগাতার তুষারপাত, রেকর্ড ভেঙেছে বিগত বহু বছরের। ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া তুষারপাতের ধারা গোটা জানুয়ারিতে অব্যাহত ছিল। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে এখনও বিক্ষিপ্ত বিরতিতে তুষারপাত হয়ে চলেছে।
শনিবার থেকে শুরু হয়ে রবিবার তুষারে ঢাকা সিকিম দার্জিলিংয়ের একাধিক এলাকা বিশেষ করে উত্তর সিকিমের লাচুং, লাচেন এলাকা ছিল সাদা চাদরে ঢাকা।
অন্যদিকে পশ্চিমবাংলার সান্দাকফু, ফালুট, বরফের নিচে চলে গিয়েছে। শনিবার থেকেই দার্জিলিং শহরেও সামান্য পরিমাণ তুষারপাত হয়েছে বলে খবর মিলেছে।
সমতলে যতই শীত চলে গিয়ে বসন্তের বাতাস বয়ে যাক না কেন, পাহাড়ে এখনও জাঁকিয়ে শীত, সঙ্গে হিমেল হাওয়া পর্যটকদের মন ভোলাতে ব্যস্ত।
এদিকে দক্ষিণ বঙ্গে রবিবার আবহাওয়া মেঘলা থাকলেও বৃষ্টির দাপট তেমন ছিল না কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে। তবে আকাশের মুখ ছিল ভার। কলকাতা শহরের বিভিন্ন জায়গায় হালকা বৃষ্টি শুরু হলেও এখনও বৃষ্টির দাপট লক্ষ্য করা যায়নি। তবে রাতের আপডেট-এ আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে বৃষ্টির আশংকা রয়েছে বেশ কয়েকটি জেলায়। তবে সতর্কতা জারি করা হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায়।
সোমবার সকালে কুয়াশায় ঢাকা ছিল বহু জেলা, তবে মঙ্গলবার থেকে শুষ্ক আবহাওয়া ও পরিষ্কার আকাশ থাকবে বলে জানিয়েছে মৌসম বিভাগ। তবে একইসঙ্গে সপ্তাহের শেষে বৃহস্পতি, শুক্রবার নাগাদ ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যে।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ও পুবালি হাওয়ার সংঘাতে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জেলায়। মধ্য মহারাষ্ট্রে ঘূর্ণাবর্ত। বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে। বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস।
রবিবার সকাল থেকে ছিল আংশিক মেঘলা আকাশ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেঘে ঢেকেছে আকাশ। বিকেল অথবা রাতের দিকে বৃষ্টির পূর্বাভাস। মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং হাওড়াতে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস ৷
গতকাল কলকাতা-সহ আশপাশের এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও বেড়েছিল ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। এদিনও সেই চিত্রের কোনও পরিবর্তন হয়নি। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি, স্বাভাবিকের ১ ডিগ্রি কম।
আজ ভোরের দিকে শহরের আকাশ ছিল ঘন কুয়াশায় ঢাকা। সেই কারণে দমদম বিমানবন্দরে বিমান চলাচল ব্যাহত হয়।
আগামী ৫ দিন দক্ষিণবঙ্গে রাতের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না। নতুন করে পারা পতনের সম্ভাবনা নেই।
উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। বাকি সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। তবে মঙ্গলবার থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলেও জানানো হয়েছে।
বিহার থেকে বিদর্ভ পর্যন্ত ঘনিভূত নিম্নচাপের জেরে ও বঙ্গপোসাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্পের ফলে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ বৃহস্পতিবার এ রাজ্যে ফের বজ্র-বিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। বলছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সঙ্গে আর্দ্রতা থাকবে৷ তবে তাপমাত্রা তেমন হ্রাস হবে না।
বুধবার বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকলেও বৃহস্পতি, শুক্রবার বৃষ্টি হতে পারে রাজ্যে। বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের বীরভূম মুর্শিদাবাদ নদিয়া এবং উত্তরবঙ্গের মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা।
আবহবিদেরা মনে করছেন, এই দফায় বৃষ্টি কমলেই পাকাপাকি ভাবে বিদায় নিতে পারে শীত। ইতিমধ্যেই দিনের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। বৃষ্টি বিদায় নিলে রাতের তাপমাত্রাও বাড়তে থাকবে।