দেশের সময় : রাজ্যে ফের একবার বৃষ্টিপাতের ভ্রুকুটি। সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। রোদ ওঠেনি। ভোরের দিকে পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃষ্টিও হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া অফিস বলছে, আজ সব জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। কয়েকটি জেলায় বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হবে। এ দিকে, বৃষ্টির জেরে শীত পালিয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রা। বুধবারের তুলনায় কলকাতার তাপমাত্রা আরও এক ডিগ্রি বেড়েছে।
অর্থাৎ বৃহস্পতিবারও বঙ্গে মেঘলা আকাশ থাকার সম্ভাবনা। বাড়বে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা-এই তিন জেলাতে অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত এই পরিস্থিতি থাকবে। শনিবার থেকে ফের বঙ্গে হাওয়া বদলের সম্ভাবনা রয়েছে। ভিজতে পারে তিলোত্তমাও। সেখানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
শীতপ্রেমীরা সেভাবে চলতি বছর কনকনে ঠান্ডা উপভোগ করতে পারেনি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, ফেব্রুয়ারিতে কি শীতসুখ উপভোগ করা সম্ভব? এই প্রসঙ্গে সেভাবে আশার কথা শোনাতে পারছে না আলিপুর আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবারও একাধিক জেলায় রয়েছে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। শুক্রবার পর্যন্ত মেঘলা আকাশ থাকতে পারে। বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কম। মূলত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বেশিরভাগ জেলাগুলিতেই বাড়তে পারে তাপমাত্রার পারদ। নতুন করে কনকনে ঠান্ডা পড়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শহর কলকাতার আকাশ থাকবে আংশিক মেঘলা। দিনভর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পুবালি হাওয়ার প্রভাবও বাড়তে চলেছে। বাতাসে কমবে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ। বৃষ্টির পরে তাপমাত্রা খুব একটা কমার সম্ভাবনা কম। শুক্রবার পর্যন্ত শহরে চলবে বৃষ্টিপাত। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল সর্বাধিক ৮৯ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৫৯ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারি শুরুতে ফের সিকিমে তুষারপাতের সম্ভাবনা থাকছে। এর প্রভাব পড়তে পারে দার্জিলিঙের উঁচু এলাকাগুলিতে। ৩১ জানুয়ারি অর্থাৎ বুধবার থেকে ২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবারের মধ্যে দার্জিলিং ও কালিম্পঙে রয়েছে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা। দার্জিলিঙের উঁচু এলাকাগুলিতে হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলাতে সকালের দিকে আকাশ থাকবে কুয়াশাছন্ন। ঘন কুয়াশার সতর্কতা কিছু এলাকায়। মালদা , উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে কুয়াশার দাপট থাকতে পারে। জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারেও একই পরিস্থিতি থাকবে।
এছাড়াও শিলিগুড়িতে কুয়াশার দাপট থাকার সম্ভাবনা। এছাড়াও পঞ্জাব, হরিয়ানা, চন্ডিগড়, উত্তরপ্রদেশের কিছু অংশে হতে পারে বৃষ্টিপাত। বুধ ও বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ সহ উত্তরাখণ্ডের পার্বত্য এলাকায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এ দিকে, মাঘের বৃষ্টিতে আলুচাষে বড় ক্ষতির আশঙ্কা। হঠাৎ করে দুই দিন ধরে শীত উধাও হয়েছে। আর আলু চাষের জন্য এই আবহাওয়া একেবারেই উপযোগী নয়। এখন থেকেই আলু গাছে দেখা দিচ্ছে নানান ধরনের রোগ,কুঁকড়ে যাচ্ছে পাতা,পচা ও হলুদ জাতীয় রোগ দেখা যাচ্ছে। কৃষকদের দাবি, এর ফলে আলুর ফলন কমবে। আলু গাছকে বাঁচিয়ে রাখা যাবে না। নির্দিষ্ট সময় মতো আলু গাছ না বাঁচিয়ে রাখতে পারলে আলুর ফলন হবে না। তাই আলু গাছকে বাঁচিয়ে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে কৃষকরা।