দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ভ্যাপসা গরমে রীতিমতো ভোগান্তি বাড়ছে সাধারণ মানুষের। খুদে এবং প্রবীণদের শারীরিক পরিস্থিতির উপরেও প্রভাব পড়ছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কবে হবে বৃষ্টিপাত? ঠিক কী বলছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর?
তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে গোটা বাংলা! এই অস্বস্তি থেকে মুক্তি কবে? এতদিন এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছিল বঙ্গবাসীর মনে। অবশেষে বহু প্রতীক্ষিত বর্ষা আসার খবর দিল আবহাওয়া দফতর। জানিয়ে দিল, এবছর দেরিতে হলেও সপ্তাহান্তেই বঙ্গে প্রবেশ করছে বর্ষা।
আগামী রবিবার, ১১ জুন, উত্তরবঙ্গ ও সিকিমে বর্ষা ঢুকতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ওইদিন থেকে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার- উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের এই পাঁচ জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এমনটাই জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিও হতে পারে। তবে দক্ষিণবঙ্গে কবে বর্ষা ঢুকবে, তা এখনও অনিশ্চিত।
এমনিতে প্রতিবছর ১০ জুনের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করে যায়। কিন্তু এবছর যে তা হচ্ছে না, সে কথা নিশ্চিত করে বলা যায়। তবে রবিবার থেকে গরম কমতে পারে দক্ষিণবঙ্গের উপকূল লাগোয়া জেলাগুলিতে। এমনকী প্রাক বর্ষার ঝড়-বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। এই জেলাগুলির তালিকায় রয়েছে দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, কলকাতার নাম।
তবে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়ার মতো জেলাগুলিতে এখনই গরম কমছে না। পাশাপাশি তাপপ্রবাহও অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা গণেশ দাস। বর্ষা যতদিন না দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করছে, ততদিন এই অস্বস্তিকর আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গে জারি থাকবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
আজ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। স্বস্তির বিষয়, তিন জেলায় হতে পারে বৃষ্টিপাত। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে বৃহস্পতিবার হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে। অন্যদিকে, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ-এই পাঁচ জেলায় রয়েছে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা। এদিনও তাপমাত্রা জনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে। ভ্যাপসা গরমে ভোগান্তি বাড়বে সাধারণ মানুষের।
চলতি বছর স্বাভাবিক হবে বর্ষা, এমনটাই জানিয়েছে মৌসম ভবন। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘোষণার পর কিছুটা স্বস্তিতে কৃষকরা।