দেশের সময়: ভাদ্রের শুরুতেই ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি। বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপ। এর জেরে বাংলার উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপের জেরে ইতিমধ্যেই ওড়িশায় প্রবল বর্ষণ শুরু হয়েছে।
সেখানে বৃষ্টির মাত্রা আরও বাড়বে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। পাশাপাশি এ রাজ্যে পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও উত্তর ২৪ পরগনার কিছু এলাকায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আজ কলকাতায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
উপকূল এলাকায় বৃষ্টির সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে হাওয়া বইতে পারে। এই পরিস্থিতিতে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। কলকাতায় আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৮৭ শতাংশ।
সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। মেঘলা আকাশে বৃষ্টির পূর্বাভাস। দিনের তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ঘোরাফেরা করবে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দপ্তরের তরফে।
তবে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ অনেকটাই বেশি থাকায় গুমোট গরম অনুভূত হবে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, উত্তর পূর্ব বঙ্গোপসাগরে যে গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে, তা আজ দুপুরের মধ্যে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে।
ওই নিম্নচাপ ওড়িশার বালেশ্বর ও বাংলার সাগরদ্বীপের মধ্যে দিয়ে এদিন সন্ধ্যা নাগাদ স্থলভাগে প্রবেশ করবে। তার পর তা ক্রমশ উত্তর ওড়িশা, বাংলা ও ঝাড়খণ্ড হয়ে ছত্রিশগড়ের দিকে এগোবে।
ফলে সারাদিন হালকা, মাঝারি বৃষ্টি হলেও রাতের দিকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। আগামীকালও সারাদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। গত সপ্তাহেও নিম্নচাপের জেরে বেশ কয়েকদিন বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হয়েছে। তবে এখনও বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টির ঘাটতি রয়ে গিয়েছে।
ফলে মার খাচ্ছে চাষ। বিশেষ করে আমন ধান চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কৃষি আধিকারিকরা বলছেন, এমনিতেই বৃষ্টির অভাবে ধান রোয়া করতে দেরি হয়ে গিয়েছে। তার উপর এখনও যদি পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হয়, তা হলে ফলন অনেকটাই মার খাবে। সেক্ষেত্রে চালের দাম আরও বাড়তে পারে।