দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ঠকঠকিয়ে কাঁপছে উত্তর ভারত।গত কয়েকদিন ধরে উত্তরের রাজ্য গুলিতে শৈত্য প্রবাহ। দিল্লির তাপমাত্রা নৈনিতালের থেকেও কম। ঘন কুয়াশায় দেখা যায় না কিছুই। ভূস্বর্গ ঢাকা বরফে। কিন্তু বাংলার ছবি একেবারে আলাদা। মিল বলতে এটাই বাংলাতেও সকালের দিকে কুয়াশার দেখা মিলছে। দিনের একেবারে শুরুর দিকে শহর শহরতলি কুয়াশায় ঘেরা থাকলেও বেলা বাড়তেই বিপত্তি। কুয়াশা কেটে গিয়ে ফের ভ্যাপসা গরমের অনুভূতি।
ডিসেম্বর শেষের মুখে এসে শীত একেবারে উধাও। মঙ্গলবার গত ৫০ বছরে উষ্ণতম ডিসেম্বরের সাক্ষী হলেন কলকাতা সহ রাজ্যবাসী। স্বাভাবিকের থেকে ৭ ডিগ্রি বেড়ে এদিন কলকাতা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতপোশাক কিংবা কম্বল তো দূর, ডিসেম্বরের ২৭ তারিখে অনেকেই পাখা চালাতে বাধ্য হয়েছেন।
বছর শেষের মুখে। এই সময়েও ঠান্ডা বলতে বাঁকুড়া, বীরভূম পুরুলিয়ার দিকে যদিও বা অনুভূত হচ্ছে, খাস কলকাতায় এককথায় শীত চুরি এবছর। কলকাতায় শীতকাল এসেছে, শীত আসেনি। গতকালের পর আজও মহানগরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৭ ডিগ্রি বেশি। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যদিও হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, এই গরমের আভাস কেটে যাবে বছরের শেষেই। বৃহস্পতি থেকে পারদ পড়ার সম্ভাবনার কথা জানা গিয়েছে। তাতে উত্তর ভারতের মতো হাড় কাঁপানো শীত এখনই না এলেও, গরমের বিরক্তি কাটিয়ে ডিসেম্বরেই শীতের আমেজ পাবেন মানুষ।
মৌসম ভবন সূত্রে খবর, উচ্চচাপের কারণে রাজ্যে অবাধে প্রবেশ করছে জলীয় বাষ্প। শীতের তাপমাত্রার এমন ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পিছনে দায়ী সেটিই। এর আগে ২০০৪ সালের ২১ ডিসেম্বর একইভাবে শীত উধাও হয়ে গিয়েছিল কলকাতায়। সেদিন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সেই রেকর্ডও ভেঙে দিল মঙ্গলবার কলকাতার তাপমাত্রা।
তবে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার থেকে ফের আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে। উত্তুরে হাওয়া প্রবেশ করার ফলে নিম্নমুখী হবে তাপমাত্রার গ্রাফ, যা বজায় থাকবে আগামী শনিবার পর্যন্ত। বুধবার সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন কলকাতার আকাশ। ভোরের দিকে হালকা কুয়াশারও দেখা মিলেছিল। তবে বেলা বাড়লে রোদ্দুরের দেখা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে যথাক্রমে ২৮ ডিগ্রি এবং ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। বুধবার বিকেল থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে।
তবে বর্ষশেষে ফের উধাও হবে শীত। শনিবারের পর থেকে আবারও ঊর্ধ্বমুখী হবে তাপমাত্রার পারদ, এমনটাই পূর্বাভাস মৌসম ভবনের। ফলে কার্যত উষ্ণ আবহাওয়াতে বর্ষবরণ করতে হবে রাজ্যবাসীকে।