দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ এপ্রিল মাসের শেষ কয়েকদিনে প্রবল তাপপ্রবাহের জেরে নাজেহাল হয়েছেন দক্ষিণবঙ্গের মানুষ৷ ৷কিন্তু শনিবার এবং রবিবার, পর পর দু’ দিন দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা ঝড় বৃষ্টির দাপট দেখেছে৷ ঝড়বৃষ্টি হয়য়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে৷
অবশেষে দেশ জুড়ে তাপপ্রবাহের দাপট কাটতে চলেছে। একাধিক টুইট করে স্বস্তির বার্তা শোনাল মৌসম ভবন। পাশাপাশি কোন কোন রাজ্যে বৃষ্টি হবে তাও জানিয়েছে হাওয়া অফিস। মঙ্গলবার থেকে শুরু করে বুধবার পর্যন্ত ঝোড়ো হাওয়া এবং বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরপূর্ব ভারতে। অন্য দিকে শুক্রবার পর্যন্ত পূর্ব এবং দক্ষিণ ভারতের উপকূলবর্তী এলাকায় কালবৈশাখীর মতো ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
মৌসম ভবনের আবহবিদরা জানিয়েছেন , ‘‘দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশ-সহ ভারতের বেশির ভাগ জায়গায় তাপপ্রবাহ শেষ হয়েছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা বেশ সক্রিয় হওয়ার ফলে আগামী ৬-৭ দিন তাপমাত্রা আর বাড়বে না।’’ তিনি জানিয়েছেন, রাজধানী দিল্লিতে আগামী ৩ মে বৃষ্টি হবে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আন্দামানের দক্ষিণ ও পূর্ব উপকূলবর্তী এলাকায় ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হওয়া বইবার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া বিহার, ঝাড়খণ্ড, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশায় আগামী ৫ দিনের মধ্যে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া এবং বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ছাড়া সোমবার থেকে পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিমের হিমালয় সংলগ্ন পার্বত্য এলাকায় বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া সোম এবং মঙ্গলবার অরুণাচল প্রদেশে বৃষ্টি হতে পার। এ ছাড়া অসম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরায় বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে আগামী দু’দিনে।
এদিকে, আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সোমবারও গোটা দক্ষিণবঙ্গেই একই পরিস্থিতি বজায় থাকবে৷ যার অর্থ, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ঝড়- বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷
শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয়, উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারেও ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর৷
প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষ স্বস্তি পেয়েছেন, আবার অন্যদিকে বিভিন্ন জেলায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা৷ উত্তরবঙ্গের মালদহ জেলাতেও আম চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে৷ বেশ কয়েক জায়গায় গাছ পড়ে এবং বজ্রাঘাতেও প্রাণ হারিয়েছেন সাধারণ মানুষ৷