https://youtu.be/H6Uqk4-B2Qg
পরিচালক তথা চলচ্চিত্রকার পার্থ সারথি চক্রবর্তীর পূর্ণ দৈর্ঘের ডেবিউ
‘চেস‘ – নো মার্সি এগেইনস্ট ক্রাইম
অর্পিতা দে – দেশের সময়:
‘চেস’ – একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরী ছবিটির প্রেখ্যাপট ৯০ কোটি টাকার একটি ডাকাতিকে ঘিরেই; যেখানে দেখানো হয়েছে কলকাতা পুলিশ নিজেদের ত্বৎপরতায়, দুজন রাজনৈতিক আসামি যারা বিভিন্ন রাজনৈতিক খুন, সংঘর্ষ, ধর্ষণের সঙ্গে যুক্ত একই পরিবারের সদস্য বাবা শৈলেন্দ্র তার ছেলে সত্যেন্দ্র যারা ৯০ কোটি টাকার এই ডাকাতিটি করে, তাদের খুঁজে বের করে ও তথ্যপ্রমাণ সমেত তাদের গ্রেপ্তার করেন৷
ছবির প্রেখ্যাপট শুরু হয় ঝাড়খণ্ডের বর্ডার অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে এবং এই ঘটনার ক্রমবিন্যাস দর্শককে নিয়ে যায় সিকিম, নেপাল ও থাইল্যান্ডের বেশকিছু অঞ্চলে।চোর পুলিশের বাগবন্দি খেলার সম্পূর্ণ পূর্ণ দৈর্ঘের রুদ্ধশ্বাস এই ছবিটির মূল নায়কই হচ্ছে চোর ও পুলিশ৷
আজকের নায়িকা নির্ভর তথাকথিত বিনোদনমূলক ছবির থেকে একদমই আলাদা ও সম্পূর্ণ ভিন্ন স্বাদের এই ছবিটি দর্শকদের মনে যে এক রোমাঞ্চকর অনুভূতি যোগাবে তা বলাই বাহুল্য ৷‘চেস’ যেহেতু একটি সত্যঘটনা অবলম্বনে তৈরী স্বভাবতই কলকাতা পুলিশের ভূমিকা সেখানে বিশেষ গুরুত্ব্যপূর্ণ রূপ ধারণ করেছে৷ তাই কাহিনীর মূল প্রেখ্যাপট অপরিবর্তিত রেখে পরিচালক চরিত্র গুলির রূপ চিত্রায়ন করেছেন বেশ যত্ন সহকারে৷
মুখ্য চরিত্র অবিনাশ চ্যাটার্জী, একজন আই পি এস পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অভিনেতা সুদীপ মুখার্জী এবং একজন স্পেশাল ইনভেস্টিগেটিং অফিসার দীপ্তি সেন এর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী রিয়া পাল এবং আরোও একজন স্পেশাল ইনভেস্টিগেটিং অফিসার দ্বীপাঞ্জন ৷ এছাড়া অন্যান্য অভিনেতাদের মধ্যে রয়েছেন মুম্বাইয়ের কয়েকজন অভিনেতা গুলশান পাণ্ডে, মুস্তাক খান, রমেশ গয়াল এবং অমিত শেঠি যিনি মুখ্য মূল ভিলেন চরিত্রে অভিনয় করেছেন, এছাড়া থাইল্যান্ডের একজন কুশলী রয়েছেন রিম্পি সিং ৷
একটি পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবি তৈরির ক্ষেত্রে চিরকালীন এক সাংগঠনিক প্রতিকূলতাকে জয় করে চলচ্চিত্রকার যে তার এই ডেবিউ ফিল্ম করতে সমর্থ হয়েছেন তারজন্য সকল অভিনেতা ও অভিনেত্রী, ও কলাকুশলীদের কাছে কৃতজ্ঞ।
‘চেস’ – একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরী ছবিটির চলচ্চিত্রকার পার্থসারথি চক্রবর্তী তার এই পূর্ণ দৈর্ঘের ডেবিউ ফিল্ম নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী, জানালেন যেকোনো কাল্পনিক ঘটনা অবলম্বনে তৈরী এবং আজকের বিনোদনমূলক ছবির তুলনায় সত্যঘটনা অবলম্বনে তৈরী ছবিই তার বেশি ভালো লাগে৷আর সেই ভালো লাগাকে সম্বল করেই এই কাজ৷ ব্যক্তিগত জীবনে পেশায় একজন চিত্রসাংবাদিক হিসেবে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার পরও স্বেচ্ছায় নিজের পেশাকে বিদায় জানিয়েছেন সিনেমার প্রেমে৷
একজন সহকারী হিসেবে কাজও করেছেন বেশকিছু বিখ্যাত পরিচালকের সঙ্গে৷নিজেও বানিয়ে ফেলেছেন বেশকিছু স্বল্প দৈর্ঘের ছবি ও তথ্যচিত্র৷পূর্ণ দৈর্ঘের ছবিতে এটাই তার ডেবিউ ৷ছোটবেলা থেকেই ক্যামেরার ভিতর দিয়েই যেন দেখতে পছন্দ করতেন সবকিছু, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মাত্র চোদ্দ বছর বয়সেই কাজ করেন একজন পেশাদার ক্যামেরাম্যান হিসেবে৷ সেই থেকেই শুরু, ফটোগ্রাফির বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেকে আরো পেশাদার করে তুলেছেন পার্থ অত্যন্ত অল্প বয়সেই৷
ছবি তৈরির নেশাও যেন পেয়ে বসে তাকে সেই সময় থেকেই; মনের সেই সুপ্ত বাসনাকে চরিতার্থ করতে দৈনন্দিন রুজিরোজগারের পেশা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি ছবি তৈরি নেশায়।
পার্থ জানালেন, আগামী দিনেও তিনি এই ধরণের রোমাঞ্চকর সত্য ঘটনা অবলম্বনেই ছবি তৈরী করতে চান৷