দেশের সময়: আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন|সেই সময় ট্রাম্পের প্রতি অটল আনুগত্য দেখালেও এবার প্রাক্তন বসকেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বসেছেন মাইক পেন্স।

২০২৪ সালে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টি থেকে মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে শামিল হবেন বলে ঘোষণা করেছেন।

এক ভিডিও বার্তায় পেন্স বলেন, একটি শক্তিশালী এবং আরও সমৃদ্ধ আমেরিকার জন্য আমরা একসাথে যে অগ্রগতি অর্জন করেছি তার জন্য আমি সর্বদা গর্বিত থাকব|

একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট যে প্রেসিডেন্টের অধীনে দায়িত্ব পালন করেছেন তারই বিরুদ্ধে পরবর্তীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামার ঘটনা আমেরিকার রাজনীতির ইতিহাসে নজির বিহীন।

অবশ্য মনোনয়ন পেতে হলে পেন্সকে পাহাড় ডিঙোতে হবে।
মে মাসে রয়টার্স/আইপিএসওএস এর জনমত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মাত্র ৫ শতাংশ ভোট রয়েছে পেন্সের| ট্রাম্পের চেয়ে ৪৪ পয়েন্ট পিছনে রয়েছেন তিনি।

পেন্স ৬৪তম জন্মদিন পালন করলেন। কিন্তু এই বয়সেও তিনি মনেপ্রাণে তরুণ| তবে প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়নের জন্য ট্রাম্প ছাড়াও পেন্সকে অন্তত ১০ জনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে হবে। যদিও প্রাথমিকভাবে ট্রাম্প এবং ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিসের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট মেয়াদের চার বছরে তাঁর একাধিক কেলেঙ্কারি সামনে এসেছে| কিন্তু কখনোই ট্রাম্পের প্রতি আনুগত্য প্রকাশে বিন্দুমাত্র দ্বিধান্বিত দেখা যায়নি পেন্সকে। তিনি সবসময় ট্রাম্পের পক্ষে কথা বলে গিয়েছেন।

কিন্তু ২০২০ সালের নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জয়ের পর ট্রাম্পর আহ্বানে সাড়া না দিয়ে সেনেটের প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেনের জয়কে তিনি আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেন।
তখন পেন্স বলেছিলেন, নির্বাচনের ফলাফলে হস্তক্ষেপ করার কোনও অধিকার সাংবিধানিকভাবে তাঁকে দেওয়া হয়নি।

২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি স্বীকৃতি প্রদান অনুষ্ঠান চলাকালে ট্রাম্পের সমর্থকরা ক্যাপিটল হিলে হামলা চলায়। যা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির ইতিহাসে কালো অধ্যায় বলে বিবেচিত হয়।

নিজের ভিডিও বার্তায় পেন্স আমেরিকার মূল্যস্ফীতি, অভিবাসন সংকট এবং মন্দায় পড়ার ঝুঁকি তৈরি হওয়া নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন।

তিনি রাশিয়া ও চীনের নেতাদের ছবি দেখিয়ে বলেন, স্বাধীনতার ও গণতন্ত্রের শত্রুদের অগ্রযাত্রা এখন সারা বিশ্বেই পরিলক্ষিত হচ্ছে।
আমেরিকার নিরবচ্ছিন্ন মূল্যবোধগুলো এতটা বিপর্যয়ের মুখে কখনো ছিল না|

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here