দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা মাত্র। তারপরই শুরু হতে চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহারণ। ৫ নভেম্বর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে শেষ মুহূর্তে এগিয়ে কে? রিপাবলিকান না ডেমোক্র্যাট কোন প্রার্থীর দিকে ঝুঁকছেন আমেরিকানরা?
সমীক্ষা বলছে লাস্ট ল্যাপে এগিয়ে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশেষ করে সাতটি সুইং স্টেটের (যে স্টেটগুলির ভোটাররা দোলাচলে রয়েছেন) সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী, রিপাবলিকান প্রার্থী কিছুটা হলেও পিছনে ফেলে দিয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বীকে।
সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৪৯ শতাংশ আমেরিকান জানিয়েছেন, তাঁরা ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই ভোট দেবেন। রিপোর্ট বলছে, শেষ মুহূর্তের দৌড়ে কমলা হ্যারিসের থেকে ১.৮ শতাংশ বেশি সমর্থন পেতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
নভেম্বরের প্রথম দু’ দিনে ষ মুহূর্তের সমীক্ষা করা হয়েছিল আমেরিকায়। অংশ নিয়েছিলেন প্রায় আড়াই হাজার আমেরিকান। যার মধ্যে অধিকাংশই মহিলা ভোটার।
এ বারের নির্বাচনে আমেরিকার সুইং স্টেটগুলি বিশেষভাবে ফোকাসে। এই স্টেটগুলিই হ্যারিস এবং ট্রাম্পের ভাগ্য নির্ধারণে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
কেবলমাত্র এই সুইং স্টেটগুলিকে নিয়ে করা অপর একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, প্রতিটিতেই জিতে যেতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, অ্যারিজ়োনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাদা, নর্থ ক্যারোলাইনা, পেনসিলভ্যানিয়া এবং উিসকনসিন অর্থাৎ সমস্ত সুইং স্টেটেই এগিয়ে রিপাবলিকান প্রার্থী।
অ্যারিজ়োনা: ট্রাম্প (৫১.৯ শতাংশ), হ্যারিস (৪৫.১শতাংশ)
নেভাদা: ট্রাম্প (৫১.৪ শতাংশ), হ্যারিস (৪৫.৯ শতাংশ)
নর্থ ক্যারোলাইনা: ট্রাম্প (৫০.৪ শতাংশ), হ্যারিস (৪৬.৮ শতাংশ)
তিন রকমের পদ্ধতিতে ভোটদান হওয়ার সম্ভাবনা আমেরিকান স্টেটগুলিতে। লাল, নীল এবং সুইং, তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে সমস্ত স্টেটগুলিকে। ১৯৮০ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে যে সমস্ত স্টেটগুলিতে রিপাবলিকান প্রার্থীদের আধিপত্য সেগুলি লাল। ১৯৯২ সাল থেকে ডেমোক্র্যাটদের জয়ী স্টেটগুলি নীল। আর যারা দোলাচলে, সেই স্টেটগুলি সুইং।
সাধারণত সুইং স্টেটগুলিতে রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। খুব অল্প ব্যবধান থাকে প্রার্থীদের মধ্যে। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেন অ্যারিজ়োনা থেকে মাত্র ১০ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন।
রয়টার্স/ইপসোস সমীক্ষা অনুযায়ী ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত কমলা হ্যারিস ডোনাল্ড ট্রাম্পের থেকে এগিয়ে ছিলেন। যদিও ব্যবধান ছিল মাত্র ১ শতাংশ।
তাৎপর্যপূর্ণ হলো, রয়টার্স/ইপসোসের সমস্ত সমীক্ষাতেই কমলা হ্যারিস এগিয়ে ছিলেন। জুলাই মাসে তিনি নির্বাচনী দৌড়ে আসার পর থেকেই ট্রাম্পের থেকে এগিয়ে ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা। সেপ্টেম্বর মাস থেকে ব্যবধান খানিক কমেছিল অবশ্য। কিন্তু লাস্ট ল্যাপে এসে আচমকাই পাল্টে গেল চিত্র।