দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ : নিট নিয়ে চরম বিতর্কের মধ্যে এবার ইউজিসি-নেট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক।
ন্যাশেনাল টেস্টিং এজেন্সি মঙ্গলবার, ১৮ জুন ইউজিসি-নেট পরীক্ষা নিয়েছিল। ৯ লক্ষের ওপর পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষা দিয়েছিল। কিন্তু বুধবার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক জানিয়ে দিল, এই পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। অর্থাৎ ১৮ জুন পরীক্ষা হয়ে তা ১৯ জুন বাতিল হয়ে গেল।
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে, মঙ্গলবারই ওএমআর সিটে এই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্ড কমিশন বা ইউজিসি বুধবার ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোরর্ডিনেশন সেন্টারের ন্যাশেনাল সাইবার ক্রাইম থ্রেট অ্যানালিটিক্স ইউনিটের তরফে জানতে পেয়েছিল ওই পরীক্ষায় কিছু অনিয়ম হয়েছে। পরীক্ষার স্বচ্ছতা নষ্ট হয়েছে এই আশঙ্কা করেই তা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর এই সংক্রান্ত বিষয়টি তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে।
এই পরীক্ষা আপাতত বাতিল হয়েছে। আর যে পরীক্ষা হবেই না, এমনটা নয়। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক বলছে, স্বচ্ছতা বজায় রেখেই পরীক্ষা নেওয়া তাদের লক্ষ্য। তাই আগামী কিছুদিনের মধ্যেই নতুন পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হবে। তবে কবে ফের নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া হবে, তা স্পষ্ট নয়। তবে এই সময়ের মধ্যে গোটা ঘটনার তদন্ত করবে সিবিআই।
প্রসঙ্গত, নিট ইউজি ২০২৪ পরীক্ষায় অনিয়ম এবং ফলপ্রকাশে অস্বচ্ছতার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পড়ুয়া ও অভিভাবকরা। ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি বা নিট পরীক্ষার নিয়ামক সংস্থা ১৫০০-র বেশি পরীক্ষার্থীকে ‘সময় নষ্ট’ হওয়ার কারণে গ্রেস মার্কস দিয়েছিল বলে দাবি ওঠে। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, যাঁদের গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের ফের পরীক্ষায় বসতে হবে।
বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী শিবির মোদী সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন এই বিষয়ে কিছু বলছেন না, সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। নিট ইস্যুতে আক্রমণের ঝাঁজও বাড়াচ্ছে কংগ্রেস শিবির। বিতর্ক নিয়ে সুপ্রিম কোর্টও বলেছে, যদি নিট-ইউজি ২০২৪ পরীক্ষায় ০.০০১ শতাংশও গাফিলতি থেকে থাকে তাহলে পদক্ষেপ প্রয়োজন। যদি কোথাও ভুল হয়ে থাকে তাহলে স্বীকার করা উচিত।