দেশের সময় ,কলকাতা :শনিবার দিনভর টানাপোড়েন। রাতে যদিও শ্বস্তির বার্তা, ভাল আছেন মিঠুন চক্রবর্তী। রবিবার সকালেও পরিস্থিতি একই আছে। নতুন করে মহাগুরুর আর কোনও শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেনি। সবিস্তার জানতে যোগাযোগ করেছিল দেশের সময় অনলাইন , বিধায়ক-প্রযোজক-অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীর আপ্ত সহায়কের সঙ্গে। তিনি জানিয়েছেন, বাবাকে দেখতে শনিবার রাতে শহরে এসেছেন বড় ছেলে মিমো।
রবিবার তিনি হাসপাতালে যাবেন। এদিন শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে হয়তো ছুটির কথা ঘোষণা করতে পারেন চিকিৎসকেরা। তবে ছাড়া হলেও চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলতে হবে তারকা অভিনেতাকে। হয়তো আরও কয়েক দিন থাকতে হতে পারে বিশ্রামে।
বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি বড়পর্দার ‘কাবুলিওয়ালা’। ভুয়ো খবর ছড়াতেই সংবাদমাধ্যমে তীব্র প্রতিবাদ জানান মিমো এবং তাঁর স্ত্রী মদালসা চক্রবর্তী। রাতারাতি চলে আসেন বাবার শহরে। বাড়ি নিয়ে যেতে? প্রশ্ন রাখতেই আপ্ত সহায়কের বক্তব্য, তিনি এ ব্যাপারে এখনও কিছু জানেন না। তবে গত রাতে সবার সঙ্গে বসে ‘মহাগুরু’ জমিয়ে আড্ডা দিয়েছেন। গত রাতে তাঁকে দেখতে এসেছিলেন দেব, ‘শাস্ত্রী’ ছবির প্রযোজক সোহম এবং গোটা টিম। রাতে নিজেই খেয়েছেন।
শনিবার রাতে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, শনিবার সকাল ৯.৪০ মিনিটে ডান দিকে সামান্য অসাড়তা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের এমআরআই সহ প্রয়োজনীয় পরীক্ষাগার এবং রেডিওলজি করা হয়। তখনই তাঁর মস্তিষ্কের ইস্কেমিক সেরিব্রোভাসকুলার অ্যাকসিডেন্ট (স্ট্রোক) ধরা পড়ে। এখন তিনি সম্পূর্ণ সচেতন। নরম খাবারও খেয়েছেন।
‘মহাগুরু’কে দেখছেন একজন স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ, কার্ডিওলজিস্ট এবং একজন গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট-সহ ডাক্তারদের একটি দল। মেডিকেল বুলেটিন প্রকাশের আগেই যদিও আজকাল ডট ইনকে এই খবর জানিয়েছিলেন তাঁর প্রিয় নায়িকা দেবশ্রী রায়। তাঁর কথায়, ‘‘এদিন সকালে আমাদের শাস্ত্রী ছবির শুট ছিল। মিঠুনদাও সকাল সকাল তৈরি।
হোটেল থেকে বেরোনোর আগেই শরীরে অস্বস্তি বোধ করছিলেন। তখনই হাসপাতালে নিয়ে যান সবাই। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, পরীক্ষায় ধরা পড়েছে, ছোট্ট সেরিব্রাল স্ট্রোক হয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরু হয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি আয়ত্তে। দাদার বিপদ কেটে গিয়েছে। রীতিমতো জ্ঞানে রয়েছেন।’’