দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ : সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে যখন কৌতূহল তুঙ্গে ঠিক তখনই জেলায় জেলায় সংগঠনে বড় রদবদল সেরে ফেলল তৃণমূল ৷ বদল করা হয়েছে একাধিক জেলা সভাপটিকে। সেইসঙ্গে কয়েকটি সাংগঠনিক জেলার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছে তৃণমূল।
তাৎপর্যপূর্ণ হল, একাধিক সাংগঠনিক জেলায় দলের সভাপতি পদে মহিলা মুখকে দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যেমন দার্জিলিংয়ের দুটি সাংগঠনিক জেলা কমিটিকরেছে তৃণমূল। পাহাড়ের সভাপতি করা হয়েছে রাজ্যসভার সাংসদ শান্তা ছেত্রিকে। আর দার্জিলিংয়ের সমতলে সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন পাপিয়া ঘোষ। তাঁকেই রেখে দেওয়া হয়েছে।
উত্তর ২৪ পরগনায় সবচেয়ে বেশি সাংগঠনিক জেলা কমিটি তৃণমূলের। কারণ এই জেলা এখন আয়তনে সবচেয়ে বড়। দেখা যাচ্ছে দমদম ও ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদে কারও নাম ঘোষণা করেনি শাসকদল। বলা হয়েছে পরে ঘোষণা করা হবে। চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আগের মতোই রয়েছেন পানিহাটির বিধায়ক তথা বিধানসভার মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করা হয়েছে বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে। একুশের ভোটে বিশ্বজিৎ জিতেছিলেন বিজেপির টিকিটে। পরে তিনি যোগ দেন তৃণমূলে। সেই তাঁকে এবার সাংগঠনিক দায়িত্ব দিল শাসকদল।
অন্যদিকে মুর্শিদাবাদ ও বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করা হয়েছে প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক শাঁওনি সিংহ রায়কে। এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, আগে বহরমপুর ও মুর্শিদাবাদ ও বহরমপুর দুটি পৃথক সাংগঠনিক জেলা ছিল। এবার সেটাকে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করা হয়েছে সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে। এর আগে এই দায়িত্বে ছিলেন বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায়। দলের মধ্যে তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন। তাঁকে সরিয়ে কাকলিকে দায়িত্ব দিল কালীঘাট।
কোন জেলায় কারা দায়িত্ব পেলেন দেখুন একনজরে ত–