দেশের সময়, বনগাঁ: উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় ভাইরাল হল তৃণমূলের পুরভোটের প্রার্থী তালিকা। সেই তালিকার তলায় সই রয়েছে দলের জেলা নেতৃত্বের। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনও তালিকার কথা অস্বীকার করা হয়েছে।
দু’একদিনের মধ্যেই আসন্ন পুরভোটের দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হওয়ার কথা। তার আগেই বনগাঁ পৌরসভার ২২ টি ওয়ার্ডের প্রার্থী তালিকা নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেই প্রার্থী তালিকায় জেলা সভানেত্রী আলোরানি সরকার ও বনগাঁ শহর সভাপতি দিলীপ দাসের স্বাক্ষর ও সিলও রয়েছে ।
তবে এই তালিকার কথা অস্বীকার করেছেন জেলা তৃণমূল সভানেত্রী আলোরানি সরকার। তিনি বলেন, ‘‘এই তালিকা আমার নয়। নানা সময় আমরা বিভিন্ন জায়গায় সই করে থাকি। সেই সই ব্যবহার করে কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই কাজ করেছে।’’ একই কথা বলতে শোনা যায় দলের শহর সভাপতি দিলীপ দাসের মুখে।
দলের উচ্চ নেতৃত্বের কাছে এই বিষয়টি নিয়ে তাঁরা অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন জেলা সভানেত্রী আলোরানি সরকার।
এদিকে নির্বাচনের দিন ঘোষনা না হলেও বনগাঁ পুরসভা এলাকায় পুর নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিল তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের কাজে দক্ষরাই টিকিট পাবেন বলে এদিন জানান জেলা সভানেত্রী। মঙ্গলবার দলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী আলোরাণী সরকার, শহর সভাপতি দিলীপ দাস দলের প্রতীক এঁকে দেওয়াল লিখনের কাজ শুরু করেন।
এদিন আলোরাণী সরকার বলেন, ‘বনগাঁ পুরসভার ২২ টি ওয়ার্ডে প্রার্থী হওয়ার জন্য মোট ১১০ টি আবেদনপত্র জমা পরেছে। সেগুলি একত্রিত করে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন প্রধান শঙ্কর আঢ্য, উপ পুরপ্রধান কৃষ্ণা রায় প্রার্থী হচ্ছেন কি না, সেই প্রশ্নের উত্তরে এদিন আলোরাণী সরকার জানান, ‘কারা কোন ওয়ার্ডে প্রার্থী হবেন, তা চূড়ান্ত করবে রাজ্য নেতৃত্ব।’
উল্লেখ্য, বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য প্রার্থী হচ্ছেন কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে। আর এই জল্পনা উস্কে দিয়েছেন দলের বনগাঁ শহর সভাপতি দিলীপ দাস।
মঙ্গলবার জেলার সভাপতির পাশে বলে দিলীপ দাস জানান, শঙ্কর আঢ্য প্রার্থী হচ্ছেন। যদিও তাঁর এই মন্তব্যকে সরাসরি সমর্থন করেন নি দলের জেলা সভানেত্রী আলোরাণী সরকার।
মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে জেলা সভানেত্রী দাবি করেন, তৃণমূলের হয়ে যিনিই প্রার্থী হোন না কেন, বনগাঁ পুরসভার ২২ টি ওয়ার্ডেই জয়ী হবেন তৃণমূল প্রার্থীরা। কারণ, মানুষ ভোট দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে। আর এখানে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। বিক্ষুব্ধ হিসেবে কেউ যদি দলের বিরুদ্ধে প্রার্থী হন, তাহলে সেই ব্যক্তিকে দল থেকে বহিষ্কার করতে সময় নেবে না দলীয় নেতৃত্ব।