দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোট যতই এগিয়ে আসছে ততই উত্তেজনা বাড়ছে বাংলায় রাজনীতির ময়দানে। একদিন আগে কাঁথিতে অভিষেকের সভার আগের রাতে কেঁপে উঠেছিল ভূপতিনগর। বিস্ফোরণে শাসকদলের চারজন কর্মীর মৃত্যুর খবর সামনে আসে। যার জেরে অস্বস্তি বাড়ে ঘাসফুল শিবিরের।
এবার সমবায় সমিতির নির্বাচনে ব্যাপক উত্তেজনা তমলুকে। সকাল থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে। শাসকদলের বিরুদ্ধে বুথ ভাঙার অভিযোগ তোলে বিজেপি। পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তৃণমূলের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে দেখা গিয়েছে।
এদিন তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের খারুই গঠরাতে সমবায় সমিতির নির্বাচন ছিল। নন্দকুমার, মহিষাদলের পর এই সমবায়েও রাম-বাম জোটের খবর সামনে এসেছিল। তৃণমূলকে হারাতে জোট বেঁধেছিল বাম-বিজেপি। জোটের খবর সামনে আসার পর কড়া অবস্থান নিতে দেখা গিয়েছিল সিপিএমকে। সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ১৯১৩ ধারা অনুযায়ী জোটে সামিল দলীয় সদস্যদের বহিষ্কার করা হবে বলে জানানো হয়। এই সমবায় সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই এদিন দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হতেই বাড়তে থাকে উত্তেজনা।
খারুই-গঠরা সমবায় সমিতিতে মোট ৪৩টি আসন রয়েছে। সমস্ত আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল ও বিজেপি-বাম জোট।
বিজেপির অভিযোগ, ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দিচ্ছিল তৃণমূল। তাদের কাগজ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। প্রতিবাদ জানাতে গেলে তৃণমূলের সঙ্গে বচসা বাঁধে। এরপর তৃণমূল কর্মীরা এসে তাদের মারধর করে বলে অভিযোগ। এমনকী বিজেপির দলীয় পতাকা ছিঁড়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।
বিজেপির অভিযোগ, সকালে ভোটাররা ভোট দিতে এলে ভোটারদের ভোটার স্লিপ কেড়ে নেয় শাসকদলের লোকজন। স্থানীয় গ্রাম প্রধানের উপস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে পদ্ম শিবিরের তরফে। যদিও তৃণমূলের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। পাল্টা হামলার অভিযোগ তোলা হয় বিজেপির বিরুদ্ধে। দু-পক্ষের মধ্যে ব্যাপক হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। ছুটে আসে পুলিশ। সূত্রের খবর, সংঘর্ষের জেরে দুই শিবিরের এখনও পর্যন্ত বিজেপির ১ জন কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
যদিও বিজেপির তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, বাইরে থেকে লোক এনে এলাকার অশান্তি তৈরি করতে চাইছে বিজেপি।
এদিন অশান্তি ছড়ালে পুলিশ ও ব়্যাফ বিশৃঙ্খলাকারীদের হঠাতে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যায়। সকলকে নির্বাচনী স্থান থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ নজরদারি চলছে এলাকায়। আপাতত শান্তি বজায় রয়েছে এলাকায়।