দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বগটুই গণহত্যা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অন্যতম মুল অভিযুক্ত লালন শেখকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। লালন শেখ ওরফে ছোট লালন  নিহত ভাদু শেখের ছায়াসঙ্গী ছিল বলেই জানা যাচ্ছে। শনিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। রবিবার ধৃতকে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়।

খুন হ‌ওয়া তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের ঘনিষ্ঠ ছিল এই লালন। বগটুই গণত্যা কাণ্ডে অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে তার নাম উঠে আসে। ২২ মার্চ রাতের বগটুই গণহত্যা পর থেকে ফেরার ছিল লালন। তাকে শনিবার রাতে ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থানা এলাকার নর‌ওমপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সেখানে লালন শেখ পরিবার নিয়ে বাস করছিল বলে জানা গিয়েছে।

ঠিক কী ঘটেছিল বগটুই তে? গত ২১ মার্চ রাত্রি সাড়ে আটটা নাগাদ বোমা মেরে খুন করা হয় বগটুই গ্রামের বাসিন্দা বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমুল কংগ্রেসের উপ-প্রধান ভাদু শেখকে। খুনের বদলা নিতে ওই রাতেই গ্রামের একাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরদিন সকালে সাতজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁদের মধ্যে দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁরাও মারা যান। ২১ জুন সিবিআই দুটি ঘটনার চার্জশিট জমা দেয়। ঘটনার পর থেকেই ফেরার ছিল চার্জশিটে নাম থাকা অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখ। ধৃত লালন বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপ প্রধান ভাদু শেখের ডান হাত বলে পরিচিত ছিল। হন্যে হয়ে চলছিল লালনের খোঁজ৷

এই গণহত্যা কাণ্ডের পর তৃণমূলের রামপুরহাট ব্লকের সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় আনারুল শেখকে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বগটুই গ্রামে গিয়ে আনারুলকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন। এই বগটুই গণহত্যা নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি।

সিবিআই সূত্রে দাবি, গত ২১ মার্চ, ভাদুকে খুনের পর, বগটুই গ্রামে যে অগ্নিসংযোগ ও জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটে, তার নেতৃত্ব দেয় এই লালন। ঝাড়খণ্ডের একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাকে রামপুরহাট আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। বিচারক তাকে ৬ দিন হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। মৃতের আত্মীয়  লালনের ফাঁসির দাবি তুলেছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here