The mother came India across border to give birth to the childহিংসায় জ্বলছে বাংলাদেশ, সন্তানের জন্ম দিতে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে এলেন মা

0
258

The mother came India across border to give birth to the child

পৌলমী ব্যানার্জী, পার্থ সারথি নন্দী

দেশের সময় : হিংসার আগুনে জ্বলছে দেশ। যেদিকেই চোখ যায় গুলি-বন্দুক, রক্তপাত, মৃত্যু। এমন অস্থিরতার মধ্যে তাঁর সন্তান ভূমিষ্ঠ হোক, চাননি বাংলাদেশের নড়াইলের বাসিন্দা সুপ্রীতি বাগচি। আর তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই তিনি পার হন সীমান্ত। পা রাখেন এপার বাংলায়।

‘একদিন ঝড় থেমে যাবে, পৃথিবী আবার শান্ত হবে’ গানের লাইন দু’টি মাথায় রেখেই স্বপ্ন দেখেন, চতুর্থ সন্তানকে সুন্দর পৃথিবীর আলো দেখাতে। ভর্তি হন সীমান্ত শহর বনগাঁর বিভূতিভূষণ হাসপাতালে। তারপরই কার্যত অসম্ভবকে সম্ভব করেই সিজারের মাধ্যমে সুপ্রীতির চতুর্থ সন্তানের প্রসব করান বনগাঁর বিশিষ্ট প্রসূতি চিকিৎসক সুনির্মল মিত্র। গত ৫ ডিসেম্বর একপ্রকার বিরল অস্ত্রোপচারের সাক্ষী থাকেন বনগাঁর মানুষ।

বিরল একারণেই, সুপ্রীতির আগের যে তিনটি সন্তান রয়েছে, সবগুলিই সিজারিয়ান। আর চতুর্থ সন্তানটিকেও পৃথিবীর আলো দেখাতে হয়েছে সিজারের মাধ্যমেই। চিকিৎসক সুনির্মল মিত্রের কথায়, কোনও মহিলার একবার সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব হলে, পরের সিজারের ক্ষেত্রেই ঝুঁকি থাকে। সেখানে এই মহিলার আগে তিনবার তিনবার সিজার হয়ে গিয়েছে।

ফলে চতুর্থবার সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করানো মোটেই সহজ ছিল না। বড় হাসপাতাল ছাড়া এ ধরনের ঝুঁকি কোনও চিকিৎসকই নিতে চাইবেন না। কারণ, এসব ক্ষেত্রে হাতের কাছেই উন্নতমানের আইসিইউ, ব্লাড ব্যাঙ্ক সহ নানা পরিকাঠামো দরকার হয়। না হলে যেকোনও পরিস্থিতিতে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

বনগাঁর মতো প্রান্তিক শহরে একটি ছোট হাসপাতালে কার্যত ঝুঁকি নিয়েই এই সিজার করেন তিনি। চিকিৎসকের কথায়, এ ধরনের ডেলিভারিতে প্রচুর রক্তক্ষরণ এবং মা ও বাচ্চার প্রাণ সংশয় থাকে। আমরা এক ইউনিট রক্ত হাতে রেখে এই অপারেশন করি। যদিও কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি। প্রসবের পর মা ও শিশু দু’জনেই সুস্থ রয়েছে। ওই প্রসূতির পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে চরম অস্থিরতা চলছে। 

এই মুহূর্তে সেখানে আদৌও কী চিকিৎসা পরিষেবা মিলবে, তা নিয়ে সন্দেহ ছিল তাঁদের। সেকারণেই তাঁরা কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি। একপ্রকার প্রাণ বাজি রেখেই সীমান্ত পেরিয়ে চলে আসেন এপাড় বাংলায়।  ভারতে যাতে তাঁদের পরিবারের নতুন সদস্য ভূমিষ্ঠ হয়, সেই আশা নিয়েই এপার বাংলায় পা রেখেছিলেন সুপ্রী দেবী ও তার স্বামী  মৈতোষ বাগচী । মৈতোষ বাগচী বলেন, স্ত্রীর ইচ্ছায় ভারতেই জন্ম নিল কন্যা । রাধার আর এক নামেতার নাম রেখেছি রাই ।  এই রাই  নাম নিয়ে বড় হবে সে । অবশেষে তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় বেজায় খুশি নড়াইলের বাগচী পরিবার।

 

Previous articleBorder of Bangladesh তুর্কির তৈরি ড্রোনে নজরদারি বাংলাদেশের! উত্তেজনা বাড়ছে সীমান্তে! হাইএলার্ট ভারতের
Next articleDesher Samay ePaper দেশের সময় ই পেপার

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here