দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ের ইন্টারভিউ নেওয়ার বিজ্ঞপ্তি দিল পর্ষদ। প্রথম পর্যায়ে গত ২৭ ডিসেম্বর ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আড়াইশোর বেশি আবেদনকারীকে ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য আগামী ১০ জানুয়ারি ডাকল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সকাল দশটা থেকে ওই দিন ইন্টারভিউ শুরু হবে বলেই বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে পর্ষদ। কলকাতা থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে হবে ইন্টারভিউ, এই বিজ্ঞপ্তিতেও সে কথাও জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি গোটা ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া হবে ভিডিওগ্রাফি অর্থাৎ ক্যামেরাবন্দি। এবারেই নজিরবিহীনভাবে দ্বিতীয় পর্যায় থেকে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াতে একাধিক বদল আনছে পর্ষদ। যে সমস্ত পরীক্ষকরা ইন্টারভিউ নেবেন তাঁদের দেওয়া হবে ল্যাপটপ। চাকরিপ্রার্থীদের অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষকরা সেই নম্বর সরাসরি ল্যাপটপে অনলাইনে পর্ষদের কেন্দ্রীয় সার্ভারে পাঠিয়ে দেবেন।
অর্থাৎ এক্ষেত্রে দ্বিতীয়বার নম্বর সংশোধনের সুযোগ থাকবে না পরীক্ষকদের কাছে। তবে শুধু অ্যাপটিটিউড টেস্টের নম্বরই নয়, বিভিন্ন ডকুমেন্টেশন ভেরিফিকেশনের জন্য যে নম্বর বরাদ্দ থাকে সেই নম্বরও অনলাইনে পর্ষদের কেন্দ্রীয় সার্ভারে পৌঁছে যাবে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে নম্বর কারচুপি সম্ভাবনা কার্যত থাকবে না বলেই পর্ষদের আধিকারিকদের মত। গোটা প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ভাবে করার জন্য এই উদ্যোগগুলি পর্ষদের আধিকারিকদের দাবি। প্রথম পর্যায়ে ইন্টারভিউয়ের দিনে পেন্সিলের পরিবর্তে পেনে নম্বর দেওয়া হয়েছে যাতে কোনও ভাবেই নম্বর না মোছা যায়।
দ্বিতীয় পর্যায়ে থেকে আরও একধাপ এগিয়ে নম্বর কারচুপি রুখতে এই পদ্ধতি নিচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। জানুয়ারি মাসের মধ্যেই একাধিক পর্যায়ে ইন্টারভিউ নেওয়া হবে বলেই পর্ষদ সূত্রে খবর। তবে আপাতত কলকাতা জেলার জন্য যাঁরা আবেদন করেছেন সেই সমস্ত চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউয়ের প্রক্রিয়ায় প্রাথমিক ভাবে করে নেওয়া পর্ষদের কাছে চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে, প্রথম পর্যায়ের ইন্টারভিউ নেওয়ার দিনে বেশিরভাগ চাকরি প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন বলেই পর্ষদ সূত্রে খবর। তবে ইন্টারভিউ নেওয়ার প্রক্রিয়ায় গতি আনতে চাইলেও আপাতত নিয়োগ প্রক্রিয়া যে করছে না পর্ষদ তা নিয়ে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।