দেশের সময় : পাঞ্জাবের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুখবীর সিং বাদলকে লক্ষ্য করে গুলি। বুধবার অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরের বাইরে সুখবীর যখন অকাল তখতের দেওয়া শাস্তি অনুযায়ী দ্বাররক্ষীর কাজ করছিলেন, তখন নারাইন চৌরা নামে এক বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের প্রাক্তন জঙ্গি তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
সূত্রে জানা গিয়েছে, শিরোমণি অকালি দল নেতা সুখবীর নিরাপদেই আছেন। তবে ইতিমধ্যে আততায়ীকে গ্রেফতার করে জেরা করছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁর পিস্তলটিও।
সাতসকালে ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো অশান্ত হয়ে ওঠে পবিত্র তীর্থস্থান চত্বর।
মঙ্গলবারই শিখ সম্প্রদায়ের শীর্ষ ধর্মীয় কমিটি অকাল তখতের শাস্তির বিধান মেনে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির সাফ করেছিলেন শিরোমণি অকালি দল নেতা, পাঞ্জাবের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুখবীর।
হুইলচেয়ারে বসা সুখবীর বাদল এদিন শাস্তিবিধানের লেখা গলায় ঝুলিয়ে ঝাঁটা হাতে মন্দির সাফসুতরো করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী। কিন্তু তার চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এমন হামলা যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
https://x.com/AdityaRajKaul/status/1864169251445133447?t=p7ZNOe4EWrWlCpjUQGIocg&s=19
পাঞ্জাবের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুখবীর বাদলকে সোমবারই শাস্তি বিধান করে শিখ ধর্মের শীর্ষ কমিটি অকাল তখত। এই শাস্তিতে অকাল তখতের তরফ থেকে সোমবার এক নির্দেশে বলা হয়, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিং বাদলের পুত্র সুখবীরকে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির সহ বেশ কয়েকটি গুরুদ্বারের বাথরুম পরিষ্কার, রান্নাঘরের কাজ ও লঙ্গরখানার এঁটো বাসন ধুতে হবে।
সেই শাস্তিরই অংশ হিসেবে স্বর্ণ মন্দিরের বাইরে, নিজের অপরাধ স্বীকার করে পরিষেবা দিতে দেখা যায় পঞ্জাবের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রীকে।
বুধবার সকালেও স্বর্ণ মন্দিরের প্রবেশদ্বারের সামনে হুইলচেয়ারেই বসেছিলেন সুখবীর সিং বাদল। সে সময়েই আচমকা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালান এক ব্যক্তি।
সুখবীরের বাবা প্রকাশ সিং বাদলকে শিখ ধর্মীয় সংগঠনের পক্ষ থেকে ২০১১ সালে ফকর-ই-কওম (শিখ সম্প্রদায়ের গর্ব) সম্মান দেওয়া হয়েছিল। সেই শিখদের গর্ব প্রকাশের ছেলে এবার অকাল তখতের সামনে দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাজা পান। গুরুগ্রন্থ সাহিবকে অবমাননার দায়ে তাঁকে শাস্তি পেতে হচ্ছে। ২০১৫ সালে ডেরা সাচা সৌদার প্রধান গুরমিত রাম রহিমের সপক্ষে কথা বলেছিলেন সুখবীর। পরে অবশ্য তিনি কৃতকর্মের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছিলেন।