দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ গরু পাচার মামলায় দিল্লিতে ইডির অফিসে জিজ্ঞাসাবাদের সময় কথায় অসঙ্গতি। তারপরই গ্রেফতার হয়েছেন কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল । রবিবার তাঁকে তোলা হয় রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে। বিচারক নরেশ কুমার লকা সুকন্যাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ১২ মে ফের তাঁকে পেশ করা হবে রাউস আদালতে।
ইডি সূত্রে খবর, আজই তিহাড় জেলে পাঠানো হতে পারে কেষ্ট কন্যাকে। তিহাড়ের ছ’নম্বর মহিলা সেলে থাকবেন তিনি। বাবা অনুব্রত মণ্ডল রয়েছেন তাঁর পাশের সেলে। অর্থাৎ সাত নম্বর সেলে। এ দিন, সুকন্যার আইনজীবী বিচারকের কাছে আবেদন করেন দশ মিনিট করে অন্তত বাবা ও বান্ধবী সুতপা পালের সঙ্গে যেন তিনি কথা বলতে পারেন। ইডি তরফে জানানো হয়েছে তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ যদি অনুমতি দেন তাহলে তাদের এই বিষয়ে কোনও আপত্তি নেই।
বস্তুত, গতকালই সুকন্যা জেরা চলাকালীন কেঁদে ফেলেছিলেন ইডি অফিসারদের সামনে। বারংবার বলেছিলেন তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। গরুপাচারকাণ্ডে তাঁর নামে কোম্পানি ও সম্পত্তি রাখা হয়েছে। সেই বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তিনি কিছুই করেননি। মানসিকভাবে তিনি বিধস্ত হয়ে পড়েছেন। এমনকী বান্ধবীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েও তিনি আবেদন করবেন বলে জানিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, সুকন্যা গ্রেফতার হওয়ার দিন তাঁকে জামা-কাপড় দিতে এসেছিলেন তাঁর বান্ধবী সুতপা। সেই সময় অঝোরে কেঁদে তিনি বলেছিলেন তাঁকেও গ্রেফতার করে নিতে তাহলে অন্তত একসঙ্গে থাকতে পারবেন। এরপর আজ সুকন্যার আইনজীবী বান্ধবীর সঙ্গে যাতে তাঁর মক্কেল কথা বলতে পারেন সেই বিষয়টি আবেদন করলেন আদালতে। ইডি সূত্রে খবর, নতুন করে আর সুকন্যাকে হেফাজতে নিতে চাননি ইডি গোয়েন্দারা।