দেশের সময় ওয়েবডেস্ক গ্রেফতার করতে হবে শাহজাহানকে। না হলে রাতভর চলবে বিক্ষোভ। সন্দেশখালি থানায় ঢুকতে না পেরে তার সামনে ধর্নায় বসেই হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বৃহস্পতিবার পুলিশের অনুমতি পাওয়ার পরই সন্দেশখালি গেছেন সুকান্ত। গ্রেফতার হওয়া বিজেপি নেতা বিকাশ সিংয়ের বাড়িতে যান তিনি। তারপর সন্দেশখালি থানায় যেতে গিয়ে তিনি বাধাপ্রাপ্ত হন। তখনই সেখানে অবস্থান বিক্ষোভ বসেন সুকান্ত মজুমদার।
সন্দেশখালি যেতে এর আগে বাধা পেয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। পুলিশি বচসায় অসুস্থ হয়ে পড়ে হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন। সেই ঘটনার ৯ দিন পর বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি যেতে পেরেছেন সুকান্ত মজুমদার। যদিও শুক্রবারও ধামাখালিতে আটকানো হয়েছিল তাঁকে। পুলিশ জানিয়েছিল, সন্দেশখালি যেতে চাইলে তিনি একা যেতে পারেন, কিন্তু দলীয় কাউকে সঙ্গে নিতে পারবেন না। সুকান্ত জেলা বিজেপি সভাপতিকে নিজের সঙ্গে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই অনুমতি পুলিশ তাঁকে দেয়নি।
সন্দেশখালিকাণ্ডে ধৃত বিকাশ সিংহের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে থানায় গেছিলেন সুকান্ত। কিন্তু তাঁকে থানার ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। এরপরই তিনি রাস্তায় অবস্থানে বসে পড়েন। হুঁশিয়ারি দেন, শাহজাহান গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত তিনি অবস্থান চালিয়ে যাবেন। যদি দরকার পড়ে তাহলে রাতভর বিক্ষোভ চলবে। সন্দেশখালি যাওয়ার আগে বসিরহাট উপসংশোধনাগারে গিয়েছিলেন সুকান্ত। সন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া বিজেপি কর্মীদের সেখানেই রাখা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন।
আট দিন আগে সন্দেশখালি যেতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। টাকিতে তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। সেখানে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। প্রথমে বসিরহাটে তারপর কলকাতা চিকিৎসাধীন ছিলেন বিজেপি সাংসদ। বৃহস্পতিবার অবশ্য বিনা বাধাতেই তিনি সন্দেশখালি যেতে পেরেছেন। তবে শাহজাহানের গ্রেফতারি চেয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। সুকান্তর কথায়, রাজ্যের ডিজি সন্দেশখালিতে রাতভর থেকেছেন। তিনিও থাকতে পারেন। মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার না হলে তিনি সন্দেশখালি ছাড়বেন না বলেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।