দেশের সময়, উত্তর ২৪পরগনা : টাকিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁকে বসিরহাট স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, সুকান্ত মজুমদারের অবস্থা স্থিতিশীল নয়, তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে। বিজেপি নেতাকে এবার কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হতে পারে তাঁকে।
টাকিতে ইছামতীর তীরে সরস্বতী পুজোয় বসেছিলেন সুকান্ত। তার পর পুলিশের সঙ্গে তাঁর ধস্তাধস্তি হয়। পুলিশের গাড়ির বনেটে উঠে পড়েছিলেন সুকান্ত। সেখান থেকে ধস্তাধস্তির মাঝে তাঁকে কোলে করে নামিয়ে আনা হয়। নিরাপত্তারক্ষীরা সুকান্তকে নামানোর পরেই তিনি বনেটের উপরে শুয়ে পড়েন।
বুধবার সকাল থেকেই টাকি থেকে সন্দেশখালি যাওয়ার কর্মসূচিতে পুলিশি বাধার অভিযোগ করেছে বিজেপি। ১৪৪ ধারা জারি থাকায় সেখানে তাঁদের যেতে দেওয়া হবে না বলে জানায় পুলিশ। এরপরই বিজেপি রাজ্য সভাপতি এবং বাকি কর্মীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয় তাঁদের। তার মধ্যেই পুলিশের গাড়ির বনেটে উঠে যান সুকান্ত। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, গাড়িতে উঠেই তিনি কিছুটা অচেতন হয়ে পড়েন। বিজেপি নেতাকে গাড়ি থেকে নামানোর চেষ্টা করা হয়। এরপরই তিনি জ্ঞান হারান।
বিজেপি কর্মীরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরও কিছুক্ষণ জ্ঞান ছিল না সুকান্ত মজুমদারের। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তিনি কিছুটা সুস্থ হন। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল নয় বলেই জানান হয়। এরপরই তাঁকে কলকাতায় আনার পরিকল্পনা করে বিজেপি।
টাকিতে সরস্বতী পুজো করার পর হোটেল থেকে বেরিয়ে সন্দেশখালি রওনা দেন সুকান্তরা। যাওয়ার পথে তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। তারা জানায়, সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তাই সেখানে জমায়েত করা যাবে না। অন্য দিকে সুকান্ত জানান, তিনি সন্দেশখালিতে যাবেনই। এই নিয়ে বচসায় উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের গাড়ির বনেটে উঠে পড়েন বিজেপি নেতা। তার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সুকান্তের অসুস্থতার কারণে বিজেপির সন্দেশখালি অভিযান আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।
সন্দেশখালির প্রবেশপথের ১৯টি জায়গায় বুধবার সকাল থেকে নতুন করে ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ। এরপরই সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছিলেন তাঁরা সরস্বতী পুজো করবেন সন্দেশখালিতেই। তবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি এও জানান, পথে পুলিশের বাধা যেখানে পাবেন সেখানেই বাগদেবীর পুজোয় বসবেন তিনি। সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশি বাধা পেয়ে বুধবার দুপুরে টাকিতে ইছামতির পাড়ে সরস্বতী বন্দনায় বসেছিলেন সুকান্ত। এরপর আবার সন্দেশখালি যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা বাঁধে। তারপরই এই ঘটনা।