দেশের সময়: শনিবার কালীঘাটের বাসভবনে দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি অভিযোগ করেছিলেন, অন্তত চার থেকে পাঁচটি আসনে চক্রান্ত করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূলকে। পূর্ব মেদিনীপুরে ভোট লুট হয়েছে। এই ভোট লুটে মদত দিয়েছে স্বয়ং নির্বাচন কমিশন।
ডিএম, এসপি, আইসিদের বদলি করে ভোট লুটের দ্বীপ তৈরি করা হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরকে। তৃণমূল নেত্রীর এই আক্রমণের পরই পাল্টা তোপ দাগলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর আক্রমণ, ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে ১০ লক্ষ ছাপ্পা ভোট পড়েছে। শুভেন্দু জানিয়ে দিয়েছেন, এই লড়াই থামার নয়, লড়াই চালিয়ে যাবেন তাঁরা। যদিও তৃণমূলের পাল্টা আক্রমণ, মুখে বড় বড় কথা বলে এখন হেরে গিয়ে মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে শুভেন্দুর। পাগলের প্রলাপ বকছেন তিনি। একেই বলে পরাজিতর আর্তনাদ। ছাপ্পা ভোট যদি হয়, তাহলে ওয়েব কাস্টিং কারা দেখছিল? নির্বাচন কমিশন কি ঘুমিয়েছিল? শুভেন্দু অধিকারী যেন মনে রাখেন, উপরের দিকে থুতু ছিটালে তা নিজের উপর পড়ে।
বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন বাংলার মানুষ। সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীরা যত তাড়াতাড়ি এটা মেনে নেবেন, ততই বাংলার মানুষের মঙ্গল। এদিকে বহরমপুরে হারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তাঁর তোপ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে চক্রান্ত করে হারিয়েছেন তাঁকে। অধীরের হার নিয়ে অবশ্য আগেই টিপ্পনি কেটেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি, বহরমপুরের যিনি কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন, তিনি আসলে কংগ্রেসের ছিলেন না, বিজেপির ছিলেন। তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠান সেখানে বিজেপিকেই হারিয়েছেন।
এদিকে অধীরের হার নিয়ে অনেকটা সহানুভূতি ফুটে উঠেছে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথায়। তিনি বলেছেন, অধীরদা সিনিয়র পলিটিশিয়ান, অথচ তাঁর প্রচারে কংগ্রেস হাই কমান্ডের কেউ আসেননি একবারের জন্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কংগ্রেস হাই কমান্ডের কোন সমঝোতা থাকতে পারে। সুকান্ত ঘুরিয়ে অধীরের স্তুতি করায়, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, তাহলে কি কংগ্রেসের গুরুত্ব হারিয়ে এবার বিজেপির পথেই পা বাড়াতে চলেছেন অধীর?