দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ প্রয়াত সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। প্রায় একমাস চিকিৎসার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
১৯ অগস্ট শ্বাসযন্ত্রে গুরুতর সংক্রমণ ধরা পড়ার পর থেকে দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসে ভর্তি ছিলেন সিপিএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। সোমবার রাতে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্রের সাহায্য নিতে হয় ডাক্তারদের। অবশেষে লড়াই থামল বৃহস্পতিবার।
৮ অগস্ট প্রয়াত হন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ওইদিন দিল্লিতে সীতারাম ইয়েচুরির চোখে ছানি অপারেশন হয়। বুদ্ধবাবুর শেষযাত্রায় তাই আসতে পারেননি ইয়েচুরি। থাকতে পারেননি ২২ অগস্ট নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বুদ্ধবাবুর স্মরণসভাতেও। তখন ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে এইমসে ভর্তি তিনি।
২০২১ সালে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন সীতারাম ইয়েচুরির বড় ছেলে আশিস। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে। ফুসফুসের জটিল সংক্রমণ হয়েছিল তাঁর। সন্তান হারানোর শোক ভুলেই নিজেকে দলের কাজে ব্যস্ত রেখেছিলেন সীতারাম। বৃহস্পতিবার তাঁর মৃত্যুর খবর জানার পরেই শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডেলে মমতা লেখেন, এই বর্ষীয়ান রাজনীতিকের মৃত্যুতে ভারতের জাতীয় রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
১৯৫২ সালে তৎকালীন মাদ্রাজে (চেন্নাই)-র এক তেলেগু ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মেছিলেন সীতারাম ইয়েচুরি। দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ থেকে অর্থনীতিতে বিএ এবং জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন তিনি। ছাত্র-জীবন থেকেই বাম রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তিনবার জেএনইউ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ জরুরি অবস্থার সময় জেনেইউ-এর ছাত্র থাকাকালীন গ্রেফতার হয়েছিলেন সীতারাম। ওই বছরই তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হয়েছিলেন। ২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল সিপিএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন সীতারাম। গত ৯ বছর ধরে সেই দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। ২০০৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনি রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন।