দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ এখনও চার পুরনিগমের ভোটের পূর্ণাঙ্গ ফল আসেনি। তবে এটা স্পষ্ট, চার শহরেই বোর্ড দখল করতে চলেছে তৃণমূল। তার মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, শিলিগুড়ির পরবর্তী মেয়র হতে চলেছেন প্রাক্তন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব। তবে তৃণমূলনেত্রী জানিয়েছেন, বিধাননগর, আসানসোল এবং চন্দননগরে পরবর্তী মেয়র কে কে হবেন তা দল ঠিক করবে।বিধাননগর নিয়ে কৌতূহল জিইয়ে রাখলেন মমতা৷
এদিন একটি টেলিভশন চ্যানেলকে ফোনে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মমতা প্রথমে বলেন, চার কর্পোরেশনে মেয়রকারা হবেন তা দল বসে সিদ্ধান্ত নেবেন। তারপরেই দিদি বলেন, আমি শিলিগুড়িটা বলে দিতে পারি। ওখানে গৌতম দেব মেয়র হবে। কারণ ও সব থেকে সিনিয়র। তবে বাকিগুলো দল ঠিক করবে।
সব্যসাচী দত্ত ছিলেন গত বোর্ডের প্রথম মেয়র। তারপর তাঁর বাড়িতে মুকুল রায়ের যাওয়া নিয়ে লবণহ্রদ তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল। ওই পর্বেই অনাস্থার চাপে ইস্তফা দেন সব্যসাচী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেয়র করেন তাঁর দীর্ঘদিনের আস্থাভাজন কৃষ্ণা চক্রবর্তীকে। তারপর সব্যসাচীর বিজেপিতে যাওয়া, আবার তৃণমূলে ফিরে আসা এবং এই ভোটে ফের তৃণমূলের টিকিট পাওয়া সবই হয়েছে এরমধ্যে। এদিন কৃষ্ণা এবং সব্যসাচী দুজনেই নিজেদের ওয়ার্ডে বিপুল ভোটে জিতেছেন।
জয়ের পর কৃষ্ণা বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা দায়িত্ব দেবেন তাই মাথা পেতে নেব। যদি বলেন পতাকা নিয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকতে তাহলে তাই থাকব।”
তা শুনে মমতা প্রতিক্রিয়ায় বুঝিয়ে দেন কৃষ্ণার সঙ্গে তাঁর কতটা দীর্ঘ এবং নিবিড়। দিদি বলেন, “আমি জানি তো। কৃষ্ণা আমার সঙ্গে অনেকদিন ধরে রয়েছে। আমি যখন ’৮৪ সালে যাদবপুর থেকে জিতলাম তখন ও গিয়ে আমার সঙ্গে থাকত। আমরা দুজনে রান্না করতাম।” হাসতে হাসতে মমতা এও বলেন,”আমার বাড়িতে থেকেই তো কৃষ্ণা বুয়ার সঙ্গে প্রেম করল! ও খুব ভাল।”
ভোটের দিন আবার সব্যসাচী বলেছিলেন, আসলে তো মেয়র হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। কারণ ওঁর নামেই তো ভোট। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত কাকে মেয়রের আসনে বসায় দিদির দল।