দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ প্রতিদিন কর্মক্ষেত্রে বা অন্যান্য কাজে যাওয়ার জন্য সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মহিলা যাত্রীদের ভিড় থাকে লোকাল ট্রেনে। সেই লোকাল ট্রেনেই উঠল হেনস্থার অভিযোগ। প্রথমে ট্রেনের ভিতরে হুমকি, হেনস্থা তরুণীকে, পরে শিয়ালদহের মতো জনবহুল স্টেশনে প্লাটফর্মে ফেলে মারধর তরুণীর সঙ্গীকে। এমনই অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চলন্ত লোকাল ট্রেনে তরুণীর ছবি তোলার চেষ্টা করেন তিন যুবক। আর তাতে বাধা দিতে গিয়ে মার খেলেন তরুণীর সঙ্গী। রোববার রাতে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে রেলপুলিশ।
তরুণীর অভিযোগ, থানায় অভিযোগ দায়ের করার সময়ও অভিযুক্তেরা হুমকি দিয়ে বলেন, ‘দেখে নেব’। শুধু তাই নয়, তরুণীর অভিযোগ, রেলপুলিশ, অর্থাৎ জিআরপি আধিকারিকরাও তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন।
অভিযোগকারী তরুণীর কথায়, তিনি ঢাকুরিয়া থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন। পার্ক সার্কাস থেকে কয়েকজন যুবক ট্রেনে উঠে তাঁর ছবি তুলতে শুরু করেন। প্রতিবাদ করলে তাঁরা বলেন, ‘বেশ করেছি’।
তরুণীর বন্ধু তথা ‘বয়ফ্রেন্ডে’র সঙ্গে ঢাকুরিয়া থেকে শিয়ালদহগামী ট্রেনে ওঠেন তিনি। পার্ক সার্কাস থেকে ওই ট্রেনে থেকে ওঠে তিন যুবক। তারা তরুণীর ছবি মোবাইলে তোলার চেষ্টা করে। তরুণী বলেন, “আমি আমার বয়ফ্রেন্ডের কাঁধে মাথা দিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। ওরা ছবি তোলার চেষ্টা করে, বলে সব অ্যাঙ্গেল থেকে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল করে দেব। আমি কে জানিস না।”
রাগ সামলাতে না পেরে তখনই ওই তিন যুবকের একজনকে চড় মারেন তিনি। আর তখনই তরুণীর সঙ্গীকে ঘিরে ধরে মারতে শুরু করেন। তরুণী বলছেন, ‘গোটা ঘটনাটা চলন্ত ট্রেনে ঘটেছে।’
ট্রেন শিয়ালদহ স্টেশনের ২১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢুকলে রেলপুলিশের আধিকারিকরা ওই তিন যুবককে গ্রেফতার করেন। যদিও অভিযোগকারী তরুণীর বাবা অভিযোগ করেছেন জিআরপি থানায় অভিযোগ দায়ের করার সময় কর্তব্যরত আধিকারিকের সামনেই অন্যান্য আধিকারিকরা তাঁর মেয়েকে হুমকি দেন। বলেন, তাঁকেও গ্রেফতার করা হবে।
গোটা ঘটনায় তরুণীর বাবার প্রশ্ন, ‘রাজ্যে মেয়েরা আদৌ সুরক্ষিত কি?’ অন্যদিকে শিয়ালদহ জিআরপি-র আইসি বাসুদেব মল্লিক বলছেন, ‘অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তিন জনকে গ্রেফতার করে গোটা ঘটনাটার তদন্ত শুরু করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।’