দেশের সময় ওয়েবডেস্ক:জল্পনার অবসান ঘটিয়ে মোদী সরকারের তরফে ঘোষণা করা হল, আগামিকাল অর্থাৎ সোমবার শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনের উদ্বোধন করবেন স্মৃতি। বিকেল পাঁচটায় উদ্বোধন হবে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বৃহস্পতিবার থেকেই চালু হবে শিয়ালদহ থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভের মেট্রো পরিষেবা।
শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনের উদ্বোধক কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছিলই। উঠে এসেছিল স্মৃতি ইরানির নাম। কিন্তু কেন্দ্রীয় নারী-শিশুকল্যাণ ও সংখ্যালঘু বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী কেন মেট্রোর উদ্বোধন করবেন, তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। সেই বিতর্কে মুখ খোলেননি মেট্রো কর্তৃপক্ষ। যাবতীয় বিতর্ককে পিছনে রেখেই কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হল এদিন।
অনুষ্ঠানের ২৪ ঘণ্টা আগে আমন্ত্রণ জানানো হল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী রবিবার জানিয়েছেন একথা। অর্থাৎ প্রবল বিতর্কের মাঝে একেবারে শেষলগ্নে শিয়ালদহ মেট্রোর উদ্বোধনের আমন্ত্রণ গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।
আগামিকাল, সোমবার উদ্বোধন করা হবে শিয়ালদহ পর্যন্ত ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো রেল পরিষেবার। সোমবার বিকেল ৫ টায় হাওড়া ময়দান থেকে এই মেট্রো পরিষেবার উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। কেন্দ্রের তরফ থেকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সেকথা।
শুধু মেট্রোর উদ্বোধন নয়। বাংলায় একাধিক কর্মসূচির পরিকল্পনা নিয়েই এসেছেন স্মৃতি ইরানি। হাওড়া টাউনে বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক রয়েছে। সেখানে তিনি উপস্থিত থাকবেন। এরপর বিকেলে হাওড়ার রামরাজাতলায় রাম মন্দিরে পুজো দিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রী। আগামিকাল দলীয় বৈঠক সেরে শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনের উদ্বোধন করবেন।
আর এই সমগ্র বিষয় নিয়েই তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক চাপানউতোর। রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বিস্তর। তিনি বলেছিলেন, রাজ্যের মানুষ জানেন এই মেট্রোর পরিকল্পনা মুখ্যমন্ত্রীর। অথচ বাহানা করে এমন সময় এই উদ্বোধন করা হচ্ছে, যখন মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন উত্তরবঙ্গে। ফিরহাদের অভিযোগ ছিল, সৌজন্যবোধের অভাব রয়েছে।
অন্যদিকে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ আবার সাফ জানিয়েছিলেন, কেন্দ্র একেবারে ঠিক করেছে। দিলীপের যুক্তি, কেন্দ্র টাকা দিয়েছে, বানিয়ে দিয়েছে, উদ্বোধন করবে ৷
রাজ্যের এই রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। রবিবার মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। কালীঘাটে আজই পৌঁছে যাবে আমন্ত্রণপত্র।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। তীব্র বিতর্কের পরে এই আমন্ত্রণপত্র। রাজনৈতিক মহলের চোখ এখন আগামিকালের অনুষ্ঠানের দিকে। এখন দেখার সোমবারের অনুষ্ঠানে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কে বা কারা উপস্থিত থাকেন।