দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শিক্ষামন্ত্রীর পর এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হল রাজ্যের প্রধান শিক্ষকরা। গত ১৮ জানুয়ারিই অবিলম্বে স্কুল খোলার দাবি জানিয়ে শিক্ষা দফতরে গিয়েছিল রাজ্যের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সংগঠন অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স এন্ড হেডমিস্ট্রেসেস। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য চিঠি দেওয়া হল।
শুক্রবার এই সংস্থার রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন যে, প্রাথমিক স্তর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সবক্ষেত্রে স্বাভাবিক পঠন পাঠন শুরু করার। এই নিয়ে একই দাবি রেখে শিক্ষামন্ত্রী ও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্ষদকেও চিঠি দিয়েছিলেন তাঁরা।
এদিনে মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে মূলত আটটি দাবি রেখেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত স্বাভাবিক পঠন পাঠন চালু করতে হবে, যথা যময়ে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে, গ্রামীণ শিক্ষাব্যবস্থা ঠিক রাখতে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ করতে হবে, মিড ডে মিলের গুনগত মান ও পরিমাণ বাড়াতে হবে- এমন এলাধিক দাবি তুলে ধরা হয়েছে।
স্কুল বন্ধ থাকায় যে শিক্ষা ব্যবস্থার উপর দারুণ প্রভাব পড়েছে সে কথাই চিঠিতে জানিয়েছেন তাঁরা। বলেছেন, ছাত্রছাত্রীদের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার জন্য স্কুল খোলা দরকার। দিকে দিকে এখন স্কুলছুটদের সংখ্যা বেড়েছে, বেড়েছে বাল্যবিবাহ, নারী নির্যাতন এমনকি শিশু শ্রমিকের সংখ্যাও। স্কুল বন্ধ থাকায় পড়াশোনাও বন্ধ হয়ে গেছে বাচ্চাদের।
করোনা আবহে স্কুল-কলেজ দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। কিছুদিনের জন্য অফলাইনে ক্লাস শুরু হলেও তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় আবার তা বন্ধ করে দিতে হয়েছে। দিন-কয়েক আগে যখন স্কুল খুলেছিল, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরাই ক্লাসে গিয়েছিল। ছোটরা ক্লাসরুমের মুখ দেখেনি বহুকাল। তাই অবিলম্বে সব ক্লাসের পঠন পাঠন অফলাইনে শুরু করার দাবি, অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স এন্ড হেডমিস্ট্রেসেসের সদস্যদের।