

গরমের ছুটির জন্য টানা একমাস বন্ধ ছিল স্কুল । সোমবার থেকে ফের খুলছে স্কুল।

৩০ এপ্রিল ক্লাসের পর বন্ধ হয়েছিল স্কুল। ছুটির সময় অনলাইনে ক্লাস চালু হলেও সিলেবাসের অনেকটাই বাকি। কিন্তু রাজ্যেও নতুন করে করোনা সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত শিক্ষকদের একাংশ। অতীতে করোনার সময় মাসের পর মাস বন্ধ হয়ে গিয়েছিল স্কুল। সরকারি স্কুলগুলিতে পঠনপাঠন কার্যত থমকে গিয়েছিল।

বেথুন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা শবরী ভট্টাচার্য, যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্যরা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, গরমের ছুটি কাটিয়ে স্কুল খুলছে। তবে করোনার চোখ রাঙানি একটা বড় মাথাব্যথার কারণ। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, সারা দেশের সঙ্গে গুটি গুটি পায়ে বাংলাতেও বাড়ছে করোনা সংক্রমণ (Covid 19)! সামনে এসেছে কোভিডের দু’টি সাব ভ্যারিয়েন্ট NB.1.8.1 এবং LF.7। এই দুই সাব ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন প্রজাতির।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রবিবার পর্যন্ত বাংলায় কোভিড পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ২৮৭ জন! অথচ ২৬ মে এই সংখ্যাটা ছিল মাত্র ১৪! রবিবারই নতুন করে ৮৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

হঠাৎ করে এক ধাক্কায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আমজনতার মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। এর মধ্যে শুক্রবারই নতুন করে ৫৯ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের পরামর্শ, এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কারণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের মধ্যে অধিকাংশ জনেরই মৃদু উপসর্গ রয়েছে।

স্বাস্থ্যকর্তাদের মতে, মাস্ক পরুন এবং একে অন্যের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলুন। দুশ্চিন্তা না করে সকলকে সামাজিক বিধি মেনে চলতে হবে।

নতুন করে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। পরিস্থিতির কথা নজর রেখে অধিকাংশ স্কুলই পড়ুয়াদের মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করছে।