দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দিনভর সন্দেশখালিতে অ্যাকশন মোডে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। ঘুরে দেখলেন এলাকার বাস্তব পরিস্থিতি। সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের ডেরায় অভিযান চালাতে গিয়ে গত ৫ জানুয়ারি আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডির অফিসাররা।
সেই ঘটনার ৪৭ দিন পর আজ সন্দেশখালিতে এলেন ডিজিপি। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরলেন। কখনও নদীপথে লঞ্চে করে বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরলেন। কখনও টোটোয় চেপে গ্রামে গ্রামে ঘুরলেন। এমনকী রাতেও পদস্থ পুলিশকর্তাদের নিয়ে গ্রামে একপ্রস্থ টহল দিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। বুধবার সন্দেশখালিতেই রাত্রিবাস করছেন ডিজি। খবর তেমনটাই।
গত কয়েকদিন ধরি সন্দেশখালি উত্তপ্ত। এলাকার গণ্ডি ছড়িয়ে সন্দেশখালির রেশ রাজ্য এবং রাজ্যের বাইরে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি সুর চড়িয়েছে। ঘটনা প্রসঙ্গে বার্তা দিয়েছে রাজ্যের শাসক দলও। এই পরিস্থিতিতে এই সন্দেশখালিতে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে গিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। বিক্ষোভের ১৪ দিনের মাথায় সেখানে যান তিনি। সঙ্গে ছিলেন এডিজি ( দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার, এবং বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার। সন্দেশখালি থানায় যান তিনি। বৈঠক করেন আধিকারিকদের সঙ্গে। থানায় বৈঠকের পর এলাকা ঘুরে দেখেন। বুধবার শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, রাতেও তিনি এলাকাতেই থাকবেন।
উল্লেখ্য, এদিন রাজীব কুমারের সন্দেশখালি সফরের আগেই সন্দেশখালির পাঁচটি জায়গায় নতুন করে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। সন্দেশখালিতে ঢোকা ও বেরোনোর সব জায়গায় নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। এদিকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও ইতিমধ্যেই সন্দেশখালির ঘটনায় মুখ্যসচিব ও ডিজির কাছে চার সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট তলব করেছে। জাতীয় তফসিলি জাতি কমিশনের পর সক্রিয় হয়েছে জাতীয় তফসিলি উপজাতি কমিশনও। আগামিকাল, বৃহস্পতিবারই জাতীয় তফসিলি উপজাতি কমিশনের একটি প্রতিনিধি দলের সন্দেশখালি যাওয়ার কথা রয়েছে।