দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মহিষবাথানে সল্টলেক শিক্ষানিকতন স্কুলের দুটি বাস পড়ুয়া সহ নিখোঁজ হয়ে যায়। এ ঘটনায় হই চই পড়ে যায় গোটা সল্টলেকে।


বেলা ১২ টা নাগাদ স্কুল থেকে বাস গুলি বেরিয়েছিল, কিন্তু বিকেল ৩ টে পর্যন্ত সেই বাসগুলির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এমনকি বাসের ড্রাইভারের নম্বরও স্যুইচ অফ পাওয়া যাচ্ছিল। এই ঘটনায় অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।


শেষে বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায় যে, কোনও পড়ুয়া নিঁখোজ নয়। সবাই তাদের বাড়ি পৌঁছেছে। আসলে অনেক দিন পর স্কুল খুলেছে। তাই বাস রুটে বিন্যাসে গোলমাল হয়েছিল। যে বাসে ওঠার কথা পড়ুয়াদের তাতে না উঠে অন্য বাসে উঠেছিল। তাতেই বিভ্রান্তি তৈরি হয়।

অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুল ১১ টা নাগাদ ছুটি হওয়ার পরেও ঘন্টাখানেক কেটে গেলেও বাচ্চারা বাড়ি না ফেরায় উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন তাঁরা। তখন স্কুলে এসে খোঁজ খবর নেন, কিন্তু তখনও কেউ কিছু জানাতে না পারায় চিন্তা বাড়তে থাকে। স্কুলের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন অভিভাবকরা।

ঘন্টা তিনেক কাটার পর অবশ্য বাসগুলির সন্ধান মিলেছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই এই বিপত্তি। তবে পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। বাচ্চারা বাড়ি ফেরায় খুশি অভিভাবকরা।

স্কুল সূত্রে খবর, দু’টি শিশুর ছোট্ট ভুলেই এমন একটা কাণ্ড ঘটে গিয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এমনটা না হয়, সে ব্যাপারে তাঁরা সজাগ থাকবেন বলে জানাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।

স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, নিউটাউনগামী একটি স্কুলবাসে উঠে পড়েছিল দুটি শিশু। অথচ, তাদের নিউটাউনে বাড়িও নয় আর স্কুলের বাসে যাওয়ার কথাও নয়। তাদের খুঁজতে গিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত। শুরু উদ্বেগ এবং অজানা আতঙ্কের।

স্কুল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, শুক্রবার সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে স্কুল ছুটি হয়। কিন্তু ওই দুই পড়ুয়াকে খুঁজে না পেয়ে স্কুলে আসেন তাদের অভিভাবকরা। স্কুলবাড়ি তন্ন তন্ন করে খুঁজে তাদের হদিশ মেলেনি।

এর পর স্কুলবাসগুলিতে খোঁজ শুরু হয়। দুটি বাসের চালককে ফোন করে মাঝপথে গাড়ি থামিয়ে দেওয়া হয়। চলে খোঁজাখুঁজি। কয়েক ঘণ্টা খোঁজার পর ওই দুই শিশুকে পাওয়া যায় নিউটাউনগামী একটি স্কুলবাসে। অন্য দিকে, ঘড়ির কাঁটা তখন ৩টে পার হয়ে গিয়েছে। প্রায় চার ঘণ্টা খুদেরা ঘরে না ফেরায় দুশ্চিন্তায় পড়েন অভিভাবকরা। তাঁরা চলে আসেন স্কুলে। বিক্ষোভ শুরু করেন।

ঝামেলার খবর পেয়ে তখন স্কুলে চলে যায় টেকনো সিটি থানার পুলিশ। তাদের উপস্থিতিতে কিছু ক্ষণ বাদে জট কাটলেও এই বাস বিভ্রাট কেন ঘটল হঠাৎ? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই স্কুলে পৌঁছাল সিআইডি দল।

সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু ক্ষণের জন্য নিখোঁজ হয়ে যাওয়া বাস দুটিতে জিপিএস ট্র্যাকার লাগানো ছিল কি না, বা ঠিক কী হয়েছিল, তা বিস্তারিত জানার জন্য থানা তদন্ত করবে। তারা কোনও রকম সহযোগিতা চাইলে করা হবে। আর অভিভাবকরা জানাচ্ছেন, স্কুল কর্তৃপক্ষের আরও সচেতন হওয়া উচিত। যাতে ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here