রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ রক্তকরবী’ এই নাটক আর প্রযোজক-পরিচালক গৌতম হালদার যেন একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। সদ্যপ্রয়াত নাট্যকারকে তাই তাঁর প্রযোজিক-পরিচালিত নাটক দিয়ে যৌথভাবে স্মরণ করলেন সৌমিত্র মিত্রের পূর্বপশ্চিম এবং শিশিক্ষু নাট্যসংস্থা।
২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার মধুসূদন মঞ্চে সন্ধে ৬টায় ‘গৌতম হালদার স্মরণে’ অনুষ্ঠিত হল। প্রথম ভাগে তাঁকে স্মরণ করেন আন্তর্জাতিক মানের পরিচালক গৌতম ঘোষ, শুভাপ্রসন্ন, সোহিনী সেনগুপ্ত, বিজয়লক্ষ্মী বর্মন, প্রতুল মুখোপাধ্যায়, পরিচালক-কন্যা রাইপূর্ণা হালদার এবং সৌমিত্র মিত্র। গানে রাজ্যশ্রী ভট্টাচার্য।
বরাবর গৌতমের ‘রক্তকরবী’র ‘নন্দিনী’ চৈতি ঘোষাল। প্রত্যেক বার নাটক মঞ্চস্থের আগে প্রয়াত পরিচালকের সামনে মহড়া। তারপর দর্শকদের সামনে উপস্থিত হওয়া। এবার নাট্যকারের অনুপস্থিতিতেই সব হচ্ছে। ঠিক কী মনে হচ্ছে? কোনও ভাবে কি পরিচালনা হাতবদল হচ্ছে?
দেশের সময় – এর প্রতিনিধি সৃজিতা প্রশ্ন রেখেছিল চৈতির কাছে। পরিচালনার হাতবদল প্রসঙ্গে অভিনেত্রীর দাবি, কোনও প্রশ্নই ওঠে না। যে মানুষ ২০০-রও বেশি সফল রক্তকরবী প্রযোজনা-পরিচালনা করেছেন, নাটকটির ১০০ বছর উদযাপনে সামিল ছিলেন তাঁকে বাদ দিয়ে নাটক মঞ্চস্থ করার কথা কেউ ভাবতেই পারে না। তাই তাঁর দেখানো পথে হেঁটেই নাটকটি মঞ্চস্থ হল।
বাকি অনুভূতির কথা। নিজেকে উজাড় করতে গিয়ে চৈতির অনেক ব্যথা সামনে এসেছে। তাঁর কথায়, ‘‘মহড়া দেওয়ার সময় একটা চেয়ারে গৌতমদা বসে থাকতেন। আমরা তাঁর সামনে মহড়া দিতাম। সেই চেয়ার তার জায়গাতেই রয়েছে। কেবল, আসন ফাঁকা। কিন্তু সেটাও থাকছে না! রোজ কেউ না কেউ তাতে ফুল রেখে যাচ্ছেন। আর সাদা কাগজে মনের কিছু কথা, স্মৃতিচারণ। কে লিখছেন জানি না। কিন্তু ঘটছে ব্যাপারটা। আর তাতেই শূন্য আসন পরিপূর্ণ। ওঁর শারীরিক অনুপস্থিতি ফিকে পড়ে যাচ্ছে গৌতমদার মানসিক উপস্থিতির কাছে। ফলে, একা লাগছে না।’’ গৌতম দা আছে এখানেই কোথাও আছে !
নাটকে অধ্যাপকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিখ্যাত ফোটো জার্নালিস্ট অশোক মজুমদার ৷ কি বললেন প্রয়াত প্রযোজক-পরিচালক গৌতম হালদার সম্পর্কে ! দেখুন ভিভিও
১৯২৩ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই কালজয়ী সৃষ্টিটির প্রথম নাম দিয়েছিলেন যক্ষপুরী, তারপর নন্দিনী অবশেষে রক্তকরবী ৷
সেদিনের পর কেটে গেছে ১০০ বছর। সময়ের পরতে পরতে জমেছে সভ্যতার কত পলি ৷
রক্তকরবী বার্তা কিন্তু বর্তমানে ও প্রবল ভাবে প্রাসঙ্গিক ৷
বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব ও চলচ্চিত্র পরিচালক শ্রী গৌতম হালদারের প্রয়াণে, সংস্কৃতি জগতের এক অপূরনীয় ক্ষতি হল ৷
‘ভালো থেকো’ ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গেছিল বিদ্যা বালানকে |
২০০৩ সালে মুক্তি প্রাপ্ত এই ছবি বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল, এমনকি গৌতম হালদারের এই ছবি জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছিলেন।
তবে শুধুমাত্র বিদ্যা বালান না তার নির্বাণ ছবিতে রাখি গুলজার কেও অভিনয় করতে দেখা গেছিল ৷
তবে শুধু সিনেমায় নয় , নাট্যজগতে ও তার অবদান মনে রাখার মতো।
মঙ্গলবার, ২৮ এ নভেম্বর তার উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে মঞ্চস্থ হল তার নির্দেশনায় রক্তকরবী।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বহু বিশিষ্ট গুনিজনেরা |
কথায় আছে মহাপুরুষদের মৃত্যু হয় না | প্রতি মুহূর্তে গৌতম হালদারের অভাব অনুভূত হলেও উনি আমাদের মধ্যে বেঁচে থাকবেন ওনার কীর্তির মধ্য দিয়ে।