দেশের সময় কলকাতা : বুধবার ইডি দফতরে হাজির হলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। আগেরবার হাজিরা এড়ালেও, এবার নির্ধারিত দিনেই কলকাতায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দফতরে পৌঁছে গেলেন অভিনেত্রী।
গত ৫ জুন সকালে সিজিও কমপ্লেক্সে অভিনেত্রীকে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু অভিনেত্রী সেদিন বিদেশে ছিলেন। তাই মেল পাঠিয়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর পক্ষে এখন সিজিও কমপ্লেক্সে যাওয়া সম্ভব নয়। দেশে ফিরে এলে যোগাযোগ করার আশ্বাসও দিয়েছিলেন তিনি। সেই মতো এবার হাজিরা দিলেন অভিনেত্রী।
এদিন দুপুর ১ টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছয় ঋতুপর্ণার গাড়ি। গাড়ি থেকে নেমে সোজা হেঁটে ইডি দফতরে প্রবেশ করেন ঋতুপর্ণা। সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও কথা বলেননি তিনি। রেশন দুর্নীতি মামলায় এদিন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে ইডি সূত্রের খবর।
এদিন ইডি দফতরে পৌঁছনোর আগে নিজের হিসাবরক্ষককে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ঋতুপর্ণা। সেইমতো সকালেই সিজিও কমপ্লেক্সে কাগজপত্র নিয়ে চলে আসেন ঋতুপর্ণার হিসাবরক্ষক। অভিনেত্রীও যে ইডির ডাকে সাড়া দিয়ে বুধবার সিজিওতে আসছেন, তা জানা গিয়েছিল তখনই। পরে আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে হাজিরা দেন তিনি। আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করেই ইডির সমনের উত্তর দেবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন ঋতুপর্ণা।
বুধবার ঋতুপর্ণার হিসাবরক্ষক জানিয়েছিলেন, অভিনেত্রীর কাছে যে সমস্ত হিসাব চেয়েছিল ইডি, তা তিনি, অর্থাৎ হিসাবরক্ষকই দেখাশোনা করেন। তাই হিসাব বুঝিয়ে দিতে সুবিধা হবে বলে তিনি এসেছেন। অভিনেত্রীও পরে সিজিওতে আসবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন হিসাবরক্ষক। সেই মতো দুপুর ১টা নাগাদ অভিনেত্রী এসে পৌঁছন সিজিওতে।
ইডি সূত্রের খবর, ব্যাঙ্কে লেনদেনের তথ্যর উপর নির্ভর করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিনেত্রীকে ইডি তলব করেছে। এর আগে অর্থলগ্নি সংস্থা রোজভ্যালির আর্থিক নয়ছয়ের মামলায় নাম জড়িয়েছিল অভিনেত্রীর। ২০১৯ সালে রোজভ্যালি মামলায় তাঁকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সেসময় তদন্তকারীদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখিও হয়েছিলেন ঋতুপর্ণা।
ইডি-র দাবি, ঋতুপর্ণা ছাড়াও আরও ৫০ জন সুবিধাভোগীর কাছে গিয়েছে রেশন দুর্নীতির টাকা। তদন্তে ইডি-র নজরে রয়েছে সেই ৫০ জন। তদন্তকারীদের বক্তব্য, ভুয়ো কৃষক দেখিয়ে তাঁদের কাছেও পৌঁছেছে দুর্নীতির টাকা। উল্লেখ্য, এই দুর্নীতি মামলাতেই বর্তমানে জেলে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।