সঙ্গীতা চৌধুরী : আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি। তার কয়েক ঘণ্টা আগে নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের দাবিতে বেনজির প্রতিবাদের সাক্ষী হল রাজ্য। তিলোত্তমার ন্যায় বিচারের দাবিতে ফের রাজপথের দখল নিল নাগরিক সমাজ। সোমবার সন্ধেয়
কলেজ স্ট্রিট থেকে যাদবপুর এইট বি পর্যন্ত কোথাও মশাল মিছিল তো কোথাও প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রতিবাদে সামিল মানুষ। এদিন হাওড়া শিবপুরের হাজার হাত কালীতলা অঞ্চলের নস্কর পাড়ার বহু মানুষ প্রতিবাদে শামিল হন। একত্রে দ্রোহের আলো প্রজ্জ্বোলন কর্মসূচিতে অংশ নেন। বিভিন্ন বয়সীদের এই প্রতিবাদ মঞ্চে দেখা যায়।
সোমবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বাংলা জুড়ে ‘দ্রোহের আলো জ্বালো’ কর্মসূচি পালনের জন্য রাজ্যবাসীর কাছে আর্জি জানিয়েছিল ৮০টি সংগঠন-সহ জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস-এর যৌথমঞ্চ ‘অভয়া মঞ্চ’। সেই ডাকে সাড়া দিয়েই কলকাতার একাধিক প্রান্ত-সহ বাংলার ১২০টি জায়গায় জ্বলে উঠল ‘দ্রোহের আলো’। ‘দ্রোহের আগুন’ না নিভিয়ে অভয়া মঞ্চের তরফে ‘দ্রোহের আলো জ্বালো’ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল।
এদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে ভোররাত ৩টে পর্যন্ত, ঘরে ঘরে এবং পাড়ায় পাড়ায় ন্যায়বিচারের দাবিতে প্রচার কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। প্রচারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিই একমাত্র লক্ষ্য।
এদিন অভয়া মঞ্চের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শাসক যতই কঠিন হোক, আমাদের দ্রোহের আগুন নিভবে না। সুবিচার আমরা আদায় করেই আমরা থামব। জ্বলে উঠবে বাতি। স্লোগান, গান, কবিতা, বক্তব্যে স্মরণ করব তিলোত্তমাকে। শাসককে বুঝিয়ে দিতে হবে আমরা আজও মরে যাইনি!
আগামী ৯ নভেম্বর, শনিবার রানি রাসমণি রোডে একটি জমায়েত অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পরিকল্পনা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আন্দোলনকারীরা মনে করিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা নির্যাতিতার পরিবারের পাশে আছেন এবং ন্যায়বিচার পেতে যা যা করার সবকিছুই করবেন।
আরজি কর মামলা এখন সিবিআই’র হাতে। সোমবার মামলার ৮৭ দিনের মাথায় চার্জ গঠন করে শুরু হল বিচার প্রক্রিয়া। জানা গিয়েছে, আগামী ১১ নভেম্বর থেকে চলবে শুনানি। এই মামলায় তদন্ত প্রক্রিয়ায় ঢিলেমি নিয়ে বারে বারে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আন্দোলনকারীরা জুনিয়র ডাক্তাররা।