দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ ও নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় আন্দোলিত সমাজ। কলকাতা-সহ সারা দেশজুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলন সংগঠিত হলে নির্লিপ্ত রয়েছে ঘটনায় ধৃত, মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়।
সূত্রের খবর, এর আগে জেরার সময় সঞ্জয় বেপরোয়া সুরে পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের বলেছিল, “ফাঁসিই দিয়ে দিন!” ধৃতকে জেরা করে সিবিআইও এখনও পর্যন্ত বিশেষ কিছু জানতে পারেনি বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর।
এবার সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল হল আরজি করের সেই রাতে সেমিনার হলের দিকে যাওয়ার একটি ভিডিও। ভিডিও-র সত্যতা দেশের সময় অনলাইন যাচাই করেনি। তবে আন্দোলনকারী ডাক্তারি পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, এটি আরজি করের সেমিনার হলের দিকে যাওয়ার করিডরের ভিডিও।
ভাইরাল ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, গলায় হেডফোন, হাতে হেলমেট নিয়ে আরজি করের করিডর ধরে হেঁটে যাচ্ছে সঞ্জয়। ওই করিডরের শেষ প্রান্তেই রয়েছে সেমিনার হল।
গত ৯ অগস্ট ভোরে ওই সেমিনার হল থেকেই ডাক্তারি ছাত্রীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে যৌনাঙ্গ-সহ শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যার ভিত্তিতে খুন ও ধর্ষণের মামলা রুজু করে কলকাতা ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তসিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ।
আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পর থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে সঞ্জয়। সূত্রের খবর, জেরায় এখনও পর্যন্ত সঞ্জয় বিশেষ মুখ খোলেনি। পুলিশ সূত্রের দাবি, এর আগে খুনের ঘটনার দায়ভার তাঁদের কাছে স্বীকার করেছে সঞ্জয়।
তবে ছাত্রীর রক্তাক্ত দেহ এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্টের সূত্র ধরে আন্দোলনকারী পড়ুয়া থেকে নির্যাতিতার বাবা-মা, সকলেই মনে করছেন, সঞ্জয় নয় ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে আরও একাধিক জন জড়িত ছিল। সিবিআই যাতে তাদেরকেও গ্রেফতার করে, সেই দাবি তুলেছেন তাঁরা। তবে সঞ্জয়কে জেরা করে এখনও পর্যন্ত ইতিবাচক কোনও তথ্য মেলেনি বলেই তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর।
তারই মাঝে প্রকাশ্যে এসেছে চাঞ্চল্যকর ওই ভিডিও। ভাইরাল হওয়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ৯ অগস্ট ভোর ৪টে ৩ মিনিটে করিডর ধরে সেমিনার হলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সঞ্জয়। প্রায় ৪২ মিনিট সেখানে ছিল সে। ঘটনার তদন্তে নেমে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশও জানিয়েছিল, ওই দিন ভোর সওয়া ৪টে থেকে ৪টে ৪৫ মিনিটের মধ্যে নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছিল।