Recruitment Scam Case: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে বড় ‘অস্ত্র’ এলো সিবিআই -এর হাতে, শীঘ্রই ঘুরবে তদন্তের মোড় ?

0
8

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত চলছে। কিন্তু মাঝপথে সেই তদন্ত স্লথ গতিতে চলছে। কারণ, কোনওভাবেই সংগ্রহ করা যাচ্ছে না সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকুর’ কণ্ঠস্বরের নমুনা
যেদিনই ‘ডেট’ থাকে, সেইদিনই অসুস্থ তিনি। বেশ কয়েকদিন ধরে এইভাবেই চলছিল কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর। কোনও ভাবেই তাঁর গলার নমুনা সংগ্রহ করতে পারছিলেন না কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

অবশেষে দীর্ঘ টালবাহানার পর সুজয়ের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হল। নিয়োগ মামলায় এটি যে গোয়েন্দাদের কাছে অন্যতম বড় ‘অস্ত্র’ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

মঙ্গলবার বিশেষ সিবিআই আদালতে কালীঘাটের কাকুর ভয়েস স্যাম্পেল নেওয়া হয়েছে। এই নমুনা এবার পাঠানো হবে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবে। সিবিআই-এর হাতে যে অপর একটি রেকর্ডিং রয়েছে তার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে তা সুজয়ের কণ্ঠস্বর কি না।

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই দীর্ঘদিন ধরে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বর নেওয়ার চেষ্টা করছিল। তবে তিনি অসুস্থ থাকায় বারবার গড় হাজির ছিলেন। সেই কারণে নমুনা সংগ্রহ প্রক্রিয়া এতটা দেরিতে হয়। ফলে তদন্তের ক্ষেত্রেও যথেষ্ঠ সমস্যায় পড়তে হয় এজেন্সিকে। এই নমুনা সংগ্রহের পরই চার্জশিট জমা দেবে সিবিআই।

সেখানে তাঁর যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে সেই সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ থাকবে সেখানে। সিবিআই-এর দাবি, এই কণ্ঠস্বরের নমুনা যদি মেলে তাহলে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নতুন মোড় পাবে। জানা যাবে, সুজয়ের সঙ্গে ঠিক কাদের-কাদের কথা হয়েছিল। সেই কারণে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা এই তদন্তে যে উল্লেখযোগ্য হাতিয়ার বলার অপেক্ষা রাখে না।

প্রসঙ্গত প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার নির্দেশ অনেক আগেই দিয়েছিল আদালত। কিন্তু অন্তত পাঁচবার হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও তা এড়িয়ে গেছেন তিনি। তবে মঙ্গলবার সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে নগর দায়রা আদালতে হাজিরা দেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তারপর আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের সামনেই হয় তাঁর ভয়েস স্যাম্পল টেস্ট। সূত্রের খবর, ৩০-৪০ মিনিটের নমুনা নেওয়া হয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসাররাও।

সিবিআইয়ের অভিযোগ, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় টাকা লেনদেনের সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণ সরাসরি যুক্ত। টাকা লেনদেনের সময় তাঁর কণ্ঠস্বরও শোনা গেছে। সেই অডিও ক্লিপ হাতে পেয়েছে সিবিআই। সেই অডিয়ো স্যাম্পেলের সঙ্গে ‘কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর মিলিয়ে দেখতে চেয়েছে তাঁরা। কিন্তু অসুস্থ হওয়ার দাবি করে বারবার আদালতে হাজিরা এড়ানোয় সেই কাজ করতেই পারছিল না সিবিআই। মঙ্গলবার সেই ‘অসাধ্য সাধন’ হল।

গত ৬ জানুয়ারি ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ভার্চুয়ালি পেশ করা হয়েছিল কালীঘাটের কাকুকে। সেদিনই বিচারক স্পষ্ট জানান, এই মামলায় মোট ৫৪ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। সে কারণেই প্রথম প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের চার নম্বর ধারায় ‘কাকুর’ বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। একই সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে ভয়েস স্যাম্পল দিতেই হবে। সেই নমুনা দেওয়ার পর আবার জেলেই পাঠানো হয়েছে তাঁকে। 

Previous articleAgriculture পশ্চিমবঙ্গের চারাকুশলী সুশোভন জাতীয়স্তরে পুরস্কৃত হল

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here