দেশের সময় পরনে লাল পাড়ের সাদা শাড়ি। হাতে পুজোর ডালি। মন্দিরে পৌঁছে ঘুরে ঘুরে পুজো দিলেন। টান দিলেন রথের রশিতে। রবিবার দুপুর ২ টো নাগাদ মিন্টোপার্কে ইসকন মন্দিরে রথযাত্রার উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রথের দিন প্রতিবারই মুখ্যমন্ত্রীর বাঁধাধরা কর্মসূচি থেকে। যার মধ্যে অন্যতম কলকাতার ইসকন মন্দিরে রথের রশি টানা। চলতি বছর বিকেলে রথযাত্রার আনুষ্ঠানিক সময়। বিকেল ৪টে নাগাদ পুরীতে জগন্নাথদেব রথে রওনা হবেন মাসির বাড়ির উদ্দেশে। তারপরই দেশের সমস্ত রথযাত্রা শুরু হবে। তবে মুখ্যমন্ত্রী এদিন দুপুরেই বৃষ্টি মাথায় করে পৌঁছে যান কলকাতার মিন্টো পার্কের ইসকনের মন্দিরে।
রথের সকালে খটখটে রোদ থাকলেও বেলা বাড়তেই কলকাতায় ঝেঁপে বৃষ্টি নামে। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই দুপুরে ইসকন মন্দিরে যান মমতা। নিরাপত্তারক্ষীরা মুখ্যমন্ত্রীর মাথায় ছাতা ধরে তাঁকে মন্দির পর্যন্ত পৌঁছে দেন। রথের রশিতে টান দিয়ে যাত্রার উদ্বোধন করেন তিনি। সঙ্গে বলেন, “পুরীর অনুকরণে দিঘায় যে জগন্নাথ মন্দির তৈরি হচ্ছে তা পুজোর পরই উদ্বোধন হয়ে যাবে। পরের বছরই দিঘায় রথযাত্রা হবে। ওই মন্দিরের কিছু কাজ বাকি আছে। পুরো মন্দির তৈরি হয়ে গেলে আগামী বছর থেকে দিঘায় রথযাত্রা পালন করা হবে।”for
এদিন হাতে পুজোর ডালি নিয়ে ইস্কন মন্দিরে যান মমতা। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভ্রাতৃবধূ তথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতাদেবী। ইসকনের সন্ন্যাসী, পূজারিদের সঙ্গে বেশ খানিকক্ষণ বার্তালাপের পর পুজো দেন তিনি। পুজোর নিয়ম মেনে আরতিও করেন।
প্রতি বছরেই এই দিনটিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাঁধাধরা কর্মসূচির মধ্যে একটি হল ইসকন মন্দিরের রথযাত্রার সূচনা করা। এবারেও তাই দেখা গেল।
মিন্টো পার্কে ইসকন মন্দির থেকে বেরিয়ে কলকাতার বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রম করে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে শেষ হবে রথযাত্রা। আগামী সোমবার ১৫ জুলাই উল্টো রথ। ওইদিন পার্ক স্ট্রিট মেট্রোর কাছে আউটট্রাম রোড থেকে দুপুর ১২ টায় শুরু হবে রথযাত্রা।