দেশের সময় : সোমবার সকাল ১১টার পর রামমন্দির চত্বরে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হাতে পুজোর ডালা নিয়ে ধীরে ধীরে গর্ভগৃহের দিকে এগিয়ে যেতে দেখা যায় তাঁকে। তার পর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে পুজোয় বসেন মোদী। রামমন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার বিগ্রহের চোখের বাঁধন খুলে দেওয়া হয়েছে। হাতে পদ্মফুল নিয়ে পুজো করেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন নির্ধারিত সময়েই রামমন্দির চত্বরে পৌঁছন নরেন্দ্র মোদী।হাতে পুজোর ডালা নিয়ে ধীরে ধীরে গর্ভগৃহের দিকে এগোতে দেখা যায় তাঁকে। তার পর পুজোয় বসতে দেখা যায় তাঁকে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং সে রাজ্যের রাজ্যপাল আনন্দীবেন পটেলও। পঞ্চপ্রদীপে রামলালার আরতি করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে রামলালার ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ সম্পন্ন হয়।
১১ দিনের ব্রত ভাঙলেন মোদী
রামমন্দির উদ্বোধনের আগে ১১ দিনের ‘কঠিন ব্রত’ পালন করার কথা জানিয়েছিলেন মোদী। সোমবার রামলালার ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ হওয়ার পর গ্লাস থেকে চামচে করে তরল এক বস্তু খাইয়ে প্রধানমন্ত্রীর ব্রত ভাঙেন ট্রাস্টের গোবিন্দদাস গিরি মহারাজ।
মন্দিরের কাছেই মোদীর জনসভা
রামমন্দির চত্বরেই ভক্ত এবং আমন্ত্রিতদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন মোদী। দুপুর দেড়টা নাগাদ তিনি সভাস্থলে পৌঁছন। ২টো পর্যন্ত সভা চলার কথা। জনগণের উদ্দেশে সেই সভা থেকেই প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেবেন। এর পর অযোধ্যার গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান কুবের টিলায় যাওয়ার কথা মোদীর। হিন্দু ধর্মে এই কুবের টিলার গুরুত্ব অপরিসীম। অযোধ্যার ইতিহাস বলে, এখানে ধনসম্পদের দেবতা কুবের পায়ের ধুলো দিয়েছিলেন। সরযূ নদীর তীরে রামের জন্মভূমির অদূরেই তিনি স্থাপন করেছিলেন এক শিবলিঙ্গ। শিবপুজোও করেছিলেন। সোমবার দুপুরে ওই পবিত্র কুবের টিলা দর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী।