
দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দূরপাল্লার ট্রেনে চেপে যাচ্ছেন হয়তো দিল্লি।ট্রেনকে বাড়ির বৈঠকখানা বানানো চলবে না। রাত পর্যন্ত চিৎকার করে কথা বলা, আলো জ্বেলে রেখে খাওয়া দাওয়া করা এ সব বন্ধ করে দিতে চাইছে ভারতীয় রেল। তার বদলে রেলযাত্রীদের সৌজন্যের পাঠ নিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ে আলো নিভিয়ে ফেলা, জোরে কথা বলা বন্ধ করার শিক্ষা নিতে হবে। মেনে চলতে হবে কড়া নিয়ম। সব মিলিয়ে কোনও ভাবেই সহযাত্রীদের সমস্যার কারণ তৈরি করা যাবে না।

লাইট বন্ধ করে ঘুমোতে গেলেন। অমনি পাশের বার্থে শুয়ে আর এক জন মোবাইলে শুরু করলেন খোশগল্প। ব্যস, গেল আপনার রাতের ঘুম। নয়তো কেউ আবার মোবাইলে তারস্বরে চালিয়ে দিলেন গান। ধরে গেল মাথা। কিন্তু এসব সমস্যা আর হবে না এখন।

এই নিয়ে কড়া নির্দেশিকা জারি করল ভারতীয় রেল। দেশের প্রতিটি জোনের প্রিন্সিপাল চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজারকে একটি নির্দেশিকা পাঠিয়েছে ভারতীয় রেলওয়ে বোর্ড। সেই নির্দেশিকাতেই বলা হল, এবার বেশ কিছু নিয়ম পালন করতে হবে রেল যাত্রীদের। নিয়ম পালন করা হচ্ছে কিনা, নজর রাখবেন অন বোর্ড রেল কর্মীরা। নির্দেশিকা অনুযায়ী, কামরায় বসে জোর গলায় ফোনে কথা বলা যাবে না।

এমনকী, কামরায় উচ্চস্বরে বাজানো যাবে না গান। রাত ১০টা বাজলেই নিভে যাবে কামরার আলো। রাত ১০টার পরে যাত্রীদের এমন ভাবে কথা বলতে হবে, যাতে সহযাত্রীদের অসুবিধা না হয়। আর এই সব বিধি যথাযথ ভাবে পালন হচ্ছে কি না তা নজর রাখবেন টিকিট পরীক্ষক, আরপিএফ, ক্যাটারিং, ইলেক্ট্রিকাল ও মেকানিকাল বিভাগের অন বোর্ড কর্মীদের।

এক্ষেত্রে কর্মীদেরও অবশ্যই ভাল ব্যবহার করতে হবে। কৌশলী হতে হবে। বিশেষ নজর দিতে হবে ৬০ বছরের বেশি বয়সি, শারীরিক ভাবে অক্ষম, অসুস্থ যাত্রীদের। কোনও মহিলা একা যাতায়াত করলে সেদিকেও নজর রাখতে হবে। কেন হঠাৎ এই নির্দেশিকা? রেলের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরে প্রচুর অভিযোগ এসেছে। তাই এই পদক্ষেপ।
